বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রাম্য তিন মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খানপুর দহপাড়ার লোকমান হোসেন (৫০), আব্দুল লতিফ (৪৫) ও প্লাবন রহমান (৩৫)।
শনিবার দুপুরের দিকে শেরপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিন মাতব্বরকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খানপুর দহপাড়া গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে ঈমান আলী বুধবার বিকেলে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে কৌশলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের মাতব্বরা রাতেই ওই মেয়ের বাবার বাড়িতে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন। এতে ১০ কাঠা জমি লিখে দেবার শর্তে ধর্ষণের ঘটনা আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে রাজি হননি মেয়েটির বাবা। তিনি বৃহস্পতিবার শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মীমাংসা বৈঠকে থাকা তিন মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করেন।
বগুড়ার শেরপুর থানার এসআই আলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ও ৩০ ধারায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরম ধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন