কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসসহ পুলিশের আরও ৮ সদস্যকে কারাগারা পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সন্ধ্যাার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বাকি আসামিরা হলেন- শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দলাল রক্ষিত, উপপরিদর্শক টুটুল, সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া এবং কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মো. মোস্তফা বর্তমানে আদালতের হেফাজতে আছেন।
এদিন সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে করে আসামিদেরকে আদালতে আনা হয়। আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। মেজর সিনহা হত্যার আসামিদের আদালতে আনার খবরে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছেন আদালত চত্বরে।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকা থেকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেফতার করে সিএমপি সদস্যরা।
বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর এই ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া এ ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।
আসামিরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস, টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
গত ৩১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন