দক্ষিণ কোরিয়াতে করোনা মহামারীর শুরু থেকে লকডাউনসহ ছিল না কোনো চলাললের কঠোর বিধিনিষেধ। কোরিয়াতে ঈদের ছুটি না থাকলেও চলছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি।
এদেশে গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়েও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ওপর নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা। তাই কোরিয়ার বিখ্যাত পর্বতমালা থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, পার্ক, গার্ডেন, সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শণার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
গত ২ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন ইপিএস স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের (ইসো) আন্তঃকমিটির ভ্রমণ পিপাসু একদল তরুণের উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়।
প্রথমে নাকসান সমুদ্র সৈকত পরে সরাকসান পর্বতমালায় ঘটে একঝাঁক বাংলাদেশি তরুণ প্রবাসীর মিলন মেলা।
নাকসান সমুদ্র সৈকত উপকূল থেকে সমুদ্রের প্রায় ৭০ মিটার পর্যন্ত গেলেও পানির গভীরতা মাত্র ১.৫ মিটার। অগভীর তাই প্রাথমিক সাঁতারু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত।
ঐতিহাসিক কিছু স্থানের কারণে সৈকতটিও একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। সূর্যোদয় দেখার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় স্পট এটি।
আর সরাকসান যা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য দৃষ্টিনন্দন জায়গা। জেজু দ্বীপের হাল্লা পর্বত এবং জিরিসানেরপরে দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত এই সরাকসান।
যার উচ্চতা ১৭০৮ মিটার(৫৬০৩ ফুট)। আকাশে সাদা-কালো মেঘ ভেদ করে কেবলকারের মাধ্যমে ঝুলতে ঝুলতে পাহাড়-চূড়ায় পা রাখতেই চোখ-মন জুড়িয়ে যায়।
নিচে তাকালে গভীর বন আর ছোট-বড় পাহাড়। ভয় আর আনন্দ মেশানো দারুণ এক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার গুমজং এলাকা থেকে একটি বাস যোগে সকাল ৭ টায় যাত্রা শুরু করে ইসোর ৪০ জন আন্তঃকমিটির সদস্য।
প্রথমে নাকসান সমুদ্র সৈকত পৌঁছায় স্থানীয় সময় বেলা ১১ টায়। সেখানে খেলাধুলা, সাগরে সাঁতার কাটা ও ঘুরাঘুরি ছবি তোলাসহ বিভিন্ন চিত্তবিনোদনে মেতে উঠেন সবাই।
এরপর দুপুরের খাঁটি বাঙালি স্বাদে খাবারের বিভিন্ন মেনু। যার প্রত্যেকটা আইটেমই স্বাদে ও গন্ধে মাতিয়ে তুলছে ভ্রমণ পিপাসুদের।
দুপুরের খাবার শেষে নাকসান থেকে দুপুর ৩ টার দিকে সরাকসানের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সেখানে সরাকসানের পর্বত।
যা নজরকাড়া মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ। গান, কৌতুক, আড্ডা, ভোজনবিলাস সব মিলিয়ে পুরো আয়োজনটিই ছিল সবার জন্য উপভোগ্য।
অংশগ্রহণকারীরা সুদূর প্রবাসে নিজ দেশের সংস্কৃতিকে উপভোগ করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটা ভ্রমণ শেষে সবাই আপন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
আন্তঃকমিটির সবার সহযোগিতা এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান ইপিএস স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন (ইসো) সভাপতি আল আমিন মৃধা। অংশগ্রহণ করে ভ্রমণটিকে সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন