সারাদিন খাটাখাটির পরে পাওয়া গোশত প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাজার বসেছে। কোরনাভাইরাস মহামারি ও বন্যায় বানভাসিরা রাজধানীতে এসে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্বদের গরু ঘাসি কোরবানির গোস্ত কাটার জন্যে রশিদ (৩০) কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছেন ঢাকায় ।
তার গ্রুপে মাংস কাটার কাজে রয়েছে ১৫ জন। প্রতিবেদককে রশিদ জানান, পাচঁজনের তিন গ্রুপে রাজধানীর তেজগাঁও ও মোহম্মদপুর এলাকায় উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তরা লাখ লাখ টাকা দামের গরু-খাসি কোরবানি দিয়ে থাকেন। সেই গরু খাসি জবাই থেকে মাংস-মাথা কাটাকাটি শেষে গরুর খাসির মাংসের একটি অংশসহ মাথা ও পা মালিক তাদের দিয়ে থাকেন।
সেই সাথে গরুর মাংস তৈরিতে প্রতি গরুতে পেয়েছেন ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। তাঁরা সেই মাথা নিজেরা কেটে কোরবানির মাংস রাজধানীর বিভিন্ন গোশতের বাজারে বিক্রি করে দেন, এর পরে ১৫ জনের মধ্যে এই টাকা ভাগাভাগি করে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানান তিনি।
এই বাজারের বড় ক্রেতা রাজধানীতে যাঁরা কোরবানি দিতে পারেননি তাঁরাও ছোট বড় হোটেল ব্যবসায়ীরা এই মাংসের বড় কাস্টমার কিনে নেন। এসব বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাও শত শত। হোটেল ব্যবসায়ি মোতাহার মিঞা জানালেন , বাজার থেকে ৫৫০ থেকে ৫০০ টাকায় মাংস ক্রয় করতে হয়।
আর কোরবানির মাংসের হাটে ২৫০ থেকে ৩শত টাকায় পাওয়া যাচ্ছে মন্দ কি। ফ্রিজে রেখে রান্না করে বিক্রি করলে কাস্টমারও কয়েক দিন কমে ভুরি ভোজন করতে পারবেন। শনিবার সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার রেললাইন, তেজগাঁও টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের গলির মুখে, কৃষি মার্কেট এর সামনে , জেনেভা ক্যাম্পের সামনে, জাপান গার্ডেন সিটি ও অন্যান্য এলাকায় গোশতের ছোট ছোট হাট বসেছে। সংগ্রহ করা কোরবানির গোশত দরিদ্র লোকজন এখানে বিক্রি করছেন।
এসব বাজারের ক্রেতাদের মধ্যে নিম্ন বিত্ত ও নিম্ন -মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেশি। যদিও এসব গোশত বেশির ভাগই সলিড গোশত নয়। আংশিক চামড়া, চর্বি, তেল ও হাড় মিশ্রিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন