করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে ঈদ উদযাপনে বরাবরের মতোই বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে সারা দেশে। সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে অধিকাংশ জায়গায়। কারাগারগুলোতেও ছিল বাড়তি সতর্কতা। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ঈদুল ফিতরের মতো এবারও খোলা মাঠে নামাজ আদায় করার অনুমতি মেলেনি। কারাবন্দিরা যার যার ওয়ার্ডেই আদায় করেছেন ঈদের নামাজ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেকটা নিরানন্দ ঈদ কাটছে তাদের।
সব সময় জাতীয় উৎসবের দিনগুলোতে কারাবন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এবার তা থাকছে না। প্রয়োজনে প্রিয়জনের সঙ্গে কারাগারের ফোন থেকে চার থেকে পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগ পাবেন তারা। এছাড়া যথারীতি বিশেষ খাবারও পরিবেশন করা হচ্ছে কারাগারগুলোতে। কারাবন্দিতের ঈদের আনন্দ উপভোগে খেলাধুলার আয়োজনও করা হবে আগামীকাল। তবে তাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই।
কেরানীগঞ্জে দেশের কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে বন্দিরা যার যার ওয়ার্ডে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। পরে তাদের মিষ্টান্ন হিসেবে পায়েস ও মুড়ি খেতে দেয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে কারাগারে সাড়ে নয় হাজার বন্দি রয়েছেন। সকালে তাদের খেতে দেয়া হয়েছে পায়েস আর মুড়ি। দুপুরে তারা খাবেন সাদা ভাত, রুই মাছ এবং আলুর দম। রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে পোলাও গরুর মাংস। যারা গরু খেতে চান না তাদের জন্য থাকবে মুরগির মাংস। সঙ্গে একটি করে মিষ্টি ও পান-সুপারিও থাকবে।
কারা সূত্র জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে বন্দিদের সঙ্গে তাদের স্বজনদের সাক্ষাতের সুযোগ খুবই কম। চাইলেও বন্দিরা তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। তবে কারাগারের ফোন থেকে তারা দুই থেকে পাঁচ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘এবারের ঈদে আলাদা করে কোনও জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। বন্দিরা তাদের ওয়ার্ডে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।’
গতকাল শুক্রবারের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৮টি কারাগারের ৭৩ হাজার বন্দি রয়েছেন। এরমধ্যে গাজীপুর জেলায় ৫টি কারাগার রয়েছে। করোনাকালে দেশের কোনও কারাগারেই বন্দিরা খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করতে পারেননি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন