দেশে মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের ঘটনা অর্ধেকের বেশি বেড়েছে। আর এসব সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় অর্ধেকই ছিল আঞ্চলিক মহাসড়কে।
রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের তুলনায় বিগত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ৫৬.১৪ শতাংশ, নিহত ৫৭.৩৪ শতাংশ আর আহতের হার ৪৩.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুন মাসে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৫৮টি দুর্ঘটনায় ৩৬৮ জন নিহত ও ৫১৮ জন আহত হয়েছেন।
একই সময় রেলপথে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত ও ৬০ জন আহত এবং ১০জন নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১১৬ জন চালক, ৯৮ জন পথচারী, ৪৯ জন নারী, ৪৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ২১ জন শিশু ও ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন।
কেবল ৮ জুন একদিনে ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় ১০ জুন। এদিন ৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।
জুন মাসে মোট দুর্ঘটনার ৪৮.৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৫৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৩.৯৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে।
সংগঠনটি আরও জানায়, সরকারের আন্তরিকতা ও বিগত নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলেও বর্তমান সরকারের দুটি বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানো ছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে মনে করে সংগঠনটি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন