ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বামী স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় স্বামী সাইফুল ইসলাম (৬৫) এর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ১২টার দিকে পৌর এলাকার বালিডাঙ্গা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ছাচিলাপুর গ্রামের মৃত মইজদ্দি শেখের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ও বালিডাঙা গ্রামের মৃত আইন মন্ডলের জামাই। নিহতের মেয়ে মেরিনা খাতুন জানান, মায়ের সাথে পারিবারিক কলহ নিয়ে বাবার ঝগড়া হয়। এরই সুত্র ধরে রাত আনুমানিক রাত ১২টার দিকে বাবা আগে বিষপান করে। পরে বাবার দেখাদেখি মা’ও অভিমান করে বিষপান করে।
তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বিষমুক্ত করা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে স্ত্রী লাইলী বেগম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান করার ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ঐ পরিবারের আরো কয়েকজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বেঁচে আছেন। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আইন উদ্দীন মন্ডল, কিয়ামুদ্দিন মন্ডল ও খয়বর মন্ডল তিন ভাই। একই বাড়িতে তাদের বসবাস। বছর বিশেক আগে কিয়ামুদ্দিন মন্ডল এর স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। একই সময়ে আইন উদ্দীণ মন্ডল এর মেয়ে ফরিদা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। কয়েক বছর আগে কিয়ামুদ্দিন এর ছোট ছেলে আয়ুব আলীর স্ত্রী সাহেরা খাতুন আত্মহত্যা করে। এরপর আয়ুব আলী সাহেরা খাতুনের ছোটবোন সোনিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে সোনিয়া আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। অল্প কিছুদিন পর আইন উদ্দীন মন্ডলের ছোট মেয়ে মোমেনা আত্মহত্যা করে। কিছুদিন না যেতেই আইন উদ্দীন এর বড় মেয়ে ভুরভুরি আত্মহত্যা করে। কিছুদিনের ব্যবধানে ভুরভুরির ছেলে চঞ্চলও আত্মহত্যা করে। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিয়ামুদ্দিন মন্ডল বেঁচে গেলেও বছর পাঁচেক আগে ২৭ আগস্ট ২০১৫ গলায় রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আইন উদ্দীন মন্ডল এর সেজো মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলাম পারিবারিক কলহে বিষপান করে। তার দেখাদেখি অভিমানে তার স্ত্রী সাজু ওরফে লাইলী বিষপান করে। ঘরজামাই সাইফুল মারা গেলেও এ যাত্রায় লাইলী প্রাণে বেঁচে যায়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন