বাংলাদেশের রোগীরা হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে সংবাদ সংস্থা এএফপির একটি সংবাদে দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা এবং চিকিৎসা কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে এই সময়ে বাংলাদেশিদের ‘হাসপাতাল-ভীতি’ তুলে ধরা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় বসুন্ধরার ২ হাজার বেডের অস্থায়ী হাসপাতালের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এখানে মাত্র ১০০ জন রোগী ভর্তি আছেন।’
চট্টগ্রামের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘বন্দরনগরীর অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে অর্ধেক বেডে রোগী আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন অধিকাংশ রোগীর লক্ষণ হালকা। তারা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই কেউ কেউ হয়তো হাসপাতালে যাচ্ছেন না।’
‘কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং করোনা ভুক্তভোগীরা বলছেন পাবলিক হাসপাতালের সেবা নিয়ে তারা চিন্তিত।’
চট্টগ্রামের আল মানাহিল দাতব্য সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাটিকে বলেন, ‘রোগীরা বলছে হাসপাতালের থেকে তারা বাড়িতে মরতে চায়।’
জাতিসংঘের একটি জরিপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ’৮০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪৪ শতাংশ বাংলাদেশি সরকারি হেল্পলাইনে ফোন দিতে ভয় পান। অনেকে ভাবেন পজিটিভ হলেই হাসপাতালে নেয়া হবে।’
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীরা পাবলিক হাসপাতালে যাচ্ছেন। অনেকে বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন