রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম ও প্রতারণার ঘটনায় চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। শুনানি শেষে বিচারক ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বুধবার রিজেন্ট হাসপাতালের এডমিন, টেকনোলজিস্টসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই সাতজন হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের এডমিন আহসান হাবীব, এক্স-রে টেকনেশিয়ান আহসান হাবীব হাসান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, হেড অফিসের এডমিন রাকিবুল ইসলাম, এইচ আর এডমিন অমিত বণিক, ড্রাইভার আব্দুস সালাম এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশিদ খান। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলামকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
গত ৬ জুলাই রাতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। পরে করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে সংস্থাটি।
মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ পলাতক রয়েছেন আর আটজন।
গত ৭ জুলাই বিকালে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব। ওইদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশের কথা বলা হয়।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন