স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির সব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে বসে অস্বীকার করেছেন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনো ট্রেড লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।
দুদকে তাকে তলবের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠিতে তিনি এ উত্তর পাঠান। তবে সেখানে ২০১৬ সালে মিঠুর বিরুদ্ধে দুদকের করা 'নন সাবমিশন' মামলার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও গত ৪ বছরে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তথ্য জমা দেয়নি।
গত ৩০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবকে দেয়া ওষুধ প্রশাসনের সাবেক ডিজি ব্রিগেডিয়ার. মো. শহিদুল্লাহ উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ সালে ‘মিঠু বাহিনী’ শব্দ উল্লেখ করে জানান মিঠু বাহিনীর বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন স্বাভাবিক যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা মিঠু সিন্ডিকেট বাণিজ্যে লিপ্ত বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আমলে মিঠু বাহিনী শতশত কোটি টাকার বাণিজ্য করে এক চেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে।
২০১৫ সাল থেকে মিঠু যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও থেমে নেই তার কার্যক্রম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পিএস ও জনৈক সচিব মিঠু চক্রের নির্দেশে যন্ত্রপাতির তালিকা পাঠায় বলেও লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
২০১৬ সালেও মিঠুর বিরুদ্ধে 'নন সাবমিশন' মামলা করে দুদক। নামে-বেনামে থাকা ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া নেই।
২০১৬ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে দুদক যে চিঠি পাঠিয়েছিল তাতে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছে, চলমান আছে এবং ওষুধ-মালামাল-যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে সেগুলোর কোনো তথ্য আজ পর্যন্ত দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সবশেষ মাস্ক পিপিই সহ সুরক্ষা সামগ্রীর দুর্নীতিতেও নাম আসে মিঠুর। তবে তিনি গত তিন মাসে এসব সরবরাহে জড়িত নন বলে জানালেও আগের কোনো অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করেন নি।
এদিকে, কোন অদৃশ্য কারণে দুদকের চাওয়া তথ্য গত চার বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাঠায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে অধিদফতরের মুখপাত্র বলছেন, এমন চিঠি সম্পর্কে নাকি জানাই নেই তাদের।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, 'চিঠি যদি দিয়ে থাকে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। এগুলো ক্রয় দুর্নীতির সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জড়িত না।'
এছাড়া সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দ্বিতীয় দিনে মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন