চিকিৎসককে লাঞ্ছনাকারীর গ্রেপ্তারের দাবিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। তবে করোনাভাইরাস ইউনিট ও জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য সেবা চালু আছে।
গত শনিবার এই হাসপাতালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের কেড়ালকোপা গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর স্বজনরা এক চিকিৎসককে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে টুঙ্গীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মমলায় গাজী তরিকুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের কেড়ালকোপা গ্রামের কাজী আলমগীর (৬৫) নামে এক রোগী করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেন চিকিৎসক। তার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তখন রোগীর আত্মীয় গাজী তরিকুলসহ কয়েকজন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তারা কর্তব্যরত নার্সদের দিকেও তেড়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা করোনা ও জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের সব বিভাগ চালু রেখেছি। নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের গ্রেপ্তারের সাথে সাথে আমরা বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু করে দেব।”
তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, চিকিৎসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
“আসামিদের গ্রেপ্তারে গতকাল থেকেই অভিযান অব্যাহত রেখেছি।”
হাসপাতালের আইনশৃংখলা রক্ষায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা রয়েছে বলে তিনি জানান।
শীর্ষ নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন