গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের কিটের ওপর আলোচনা করতে আজ রোববার (৫ জুলাই) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার দপ্তরে ডেকে পাঠিয়েছেন। ঔষধ প্রশাসন অনুমতি দিলে ১৫ দিনের মধ্যেই ৫ হাজার কিট দেশবাসীর জন্য দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
শনিবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন ড্রাগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোববার দুপুরে জিকের আপডেটেড অ্যান্টিবডি কিটের তথ্য-উপাত্ত জানতে জিকে কর্মকর্তাদের ডেকেছেন।
এদিন ঔষধ প্রশাসন কিটের অনুমতি দিলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জনগণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ৫ হাজার অ্যান্টিবডি কিট তৈরি করে সরকারকে সরবরাহ করবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বরাত দিয়ে মিন্টু বলেন, জিকে গবেষকরা এরই মধ্যে ডিজিডিএর নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য জিকের অ্যান্টিবডি কিট আপডেট করেছেন এবং ডিজিডিএ তাদের বৈজ্ঞানিক নথি উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি আশা করি ডিজিডিএ এখন আমাদের কিটে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবে এবং অনুমতি দেবে।
কিট উন্নয়ন দলের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল মিন্টুকে জানিয়েছেন, তারা কিটের সংবেদনশীলতা আরও বৃদ্ধি করেছেন। এখন এটি অ্যান্টিবডিটিকে আরও দক্ষতার সঙ্গে শনাক্ত করতে পারে। বর্তমানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলেও জানিয়েছেন মিন্টু।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার জানান, দুপুর ১২টায় বৈঠকটি হবে। এতে অংশ নিতে কিটের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী-গবেষক ড. বিজন কুমার শীল ও তিনিসহ তিন জনের একটি দল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যাবেন।
ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধনের অনুমোদন না দিলেও পরবর্তীতে কিটটির উন্নয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন। পরে আমরা তাদের কাছে সময় চাই। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৈঠকের জন্য আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ, আমরা তা অনুসরণ করে পরীক্ষা করে দেখেছি, আমাদের কিটের কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে। একইসঙ্গে অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কোন গাইডলাইন অনুসরণ করবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন