দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মানুষের সিংহভাগই পুরুষ। নারীদের মৃত্যুর হার যেখানে কুড়ি শতাংশের ঘরে, সেখানে পুরুষদের মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই!
কভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৯ জনের। তাদের মধ্যে ২১ জনই পুরুষ, আটজন নারী।
দেশে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৭ জনে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৭ জন, যা শতাংশের হিসেবে মোট মৃত্যুর ৭৯. ৪৭ ভাগ। বিপরীতে মৃত্যুবরণ করা নারীদের সংখ্যা ৪১০ জন, মোট মৃত্যুর ২০.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ করোনায় নারীর বিপরীতে পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় চারগুণের কাছাকাছি।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ষাটোর্ধ্বদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে। মোট মৃত্যুর ৪৩.৫২ শতাংশের বয়সই ষাটের বেশি।
এরপরই রয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব। এখন পর্যন্ত ৫১-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ২৯.০৪ শতাংশ।
অন্যদের মধ্যে ৪১-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৪-২৭ শতাংশ, ৩১-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭.৪১ শতাংশ, ২১-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.৫১ শতাংশ, ১১-২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.২০ শতাংশ এবং ০-১০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ০.৬০ শতাংশ।
বুলেটিনে বলা হয়, সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ২৮৮ জনের শরীরে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন।
এই সময়ে করোনা থেকে মুক্তি লাখ করেছেন আরও ২ হাজার ৬৭৩ জন। তাতে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৭২১ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন