প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ বাঁচা সওদাগর (৬৫)কে। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আধা ঘণ্টা রেখে চিকিৎসক দেখতে থাকেন। পরে বলেন, ৪র্থ তলায় সিসিইউতে গিয়ে দেখেন শয্যা খালি আছে কিনা? সেখানে গেলে বলেন, শয্যা খালি নেই, ৮ তলায় গিয়ে দেখেন আইসিইউতে শয্যা খালি আছে কিনা? বলা হয়, শয্যা একটি খালি আছে কিন্তু উনি (রোগী) করোনা সাসপেক্টটেট ভর্তি করা যাবে না। এরপর নিচতলায় জরুরি বিভাগে এসে দেখি চাচা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ বাঁচা সওদাগরের ভাতিজা ইসহাক ঈমন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাচাকে নিয়ে আমি জরুরি বিভাগে যাই। চিকিৎসকের কথা মতো ৪র্থ তলায় গিয়েছিলাম শয্যার খবর নিতে। সিসিইউ, আইসিইউ কোথাও তাঁরা ভর্তি করেনি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা গেছেন। যদি আধা ঘণ্টা আগে ভর্তি করাতে পারতাম উনি বেঁচে যেতেন। বিনা চিকিৎসায় উনার মৃত্যু হয়েছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর দুইটি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মারা যাওয়া মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ বাঁচা সওদাগর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন হঠাৎ অসুস্থ হলে ওই দিন নগরের বেসরকারি ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ওই হাসপাতাল ভর্তি না করালে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও ভর্তি করেনি। এরপর নগর ছাত্রলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। এর আগে সেখানে দুই দফা (১৫ জুন থেকে ২০ জুন এবং ২৬ জুন থেকে ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত) চিকিৎসাকালে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে নেগেটিভ আসে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন