“আমি নির্দোষ…কিন্তু কর্মকর্তারা নির্দোষ নয়”। মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটরের তদন্তের সময় এমনটাই দাবি করেছেন বলে আরব টাইমসে খবর।
গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে। পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে টানা ১৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাপুলকে ২১ দিনের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউসনের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে পাপুল জানিয়েছেন, কাজ ছাড়িয়ে নিতে কিছু কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না তার।
অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশি এই এমপি। কুয়েত সরকারের কিছু কর্মকর্তার ওপর দায় চাপিয়ে ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারটি পাপুল সিদ্ধ করতে চাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আরব টাইমস।
প্রসিকিউশনকে পাপুল বলেছেন, “কুয়েতে আমার ৯০০০ হাজার শ্রমিক আছে এবং এগুলো ১০০ ভাগ বৈধ টেন্ডারে পাওয়া। আমার অর্জন নিয়ে কারও অভিযোগ নেই। কিন্তু কিছু কর্মকর্তা আমার টেন্ডারগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। টাকা দিয়েই এগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার একমাত্র উপায় ছিল।”
সূত্র জানিয়েছে, প্রসিকিউশনের জিজ্ঞাসাবাদে নির্দোষ দাবি করে পাপুল বলেছেন, তার কোম্পানিতে যেসব সরঞ্জামাদি রয়েছে তা অন্য কোম্পানিগুলোর নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার কোম্পানির ভালো মানের সেবা দেওয়াই এর প্রমাণ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে কিছু কর্মকর্তা।
পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে অনেক লোক ও ব্যক্তিত্বের নাম ওঠে আসছে। সেই সঙ্গে অভিযোগগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তকাজ শেষ করতে অনেক সময়ের দরকার। তাই মামলাটিকে ফৌজদারি আদালতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে জানান একটি সূত্র।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন