কর্মস্থল সচিবালয়। নিজেকে ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। বিয়ে করবেন তাই এ পরিচয়ে 'বায়োডাটা' বানিয়ে ঘটকের মাধ্যমে পাঠাতেন বিত্তবান পরিবারগুলোতে। বিশেষ করে যাদের অবিবাহিত ও চাকরিজীবী মেয়ে আছে।
কথাবার্তা শুরুর পর মেয়ের মায়ের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পিএইচডি কিংবা বদলির অজুহাতে হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। পরবর্তীতে টাকা ফেরৎ না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। এভাবে পাঁচজনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভূয়া উপসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম গোলাম মোস্তফা।
রবিবার (৩১ মে) রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
আজ সোমবার (১ জুন) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোলাম মোস্তফা নিজেকে ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কখনো সচিবালয়ে কর্মরত উপসচিব, কখনো ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিতেন। ঘটকদের মাধ্যমে বিত্তবান ও চাকরিজীবী অবিবাহিত মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্বস্ততা অর্জনের চেষ্টা করতেন।
ভাল ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা ভেবে সরল বিশ্বাসে প্রতারকের সকল কথা মেনে নিত বিবাহযোগ্য মেয়ের মা-বাবা। আর এই সুযোগটি নিত প্রতারক মোস্তফা। ফলে কখনো পিএইচডি করতে বিদেশ যাওয়া, বদলি বাতিল করা বা দুদকে সমস্যা হয়েছে বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত মোস্তফা।
এভাবে পাঁচ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর ভুক্তভোগী এক ব্যাংকার সম্প্রতি ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করলে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর ধরা পড়েন মোস্তফা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন