র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, বাংলাদেশ, ভারতের কলকাতা, মুম্বাই হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দুবাই হয়ে মিশর ও পরে লিবিয়ার বেনগাজী-ত্রিপলী পাঠানো হয় বিদেশ গমনেচ্ছুদের। এরপর সেখান থেকে সাগরপথে ইউরোপে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছুক নির্বাচনের সময় এই চক্রের দেশীয় এজেন্টরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষদের অল্প খরচে উন্নত দেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে থাকে। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেকেই তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়। বিদেশ গমনেচ্ছুকদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা সংগ্রহ, টিকিট কেনা সিন্ডিকেটের তত্ত¡াবধানে হয়। পরে তাদেরকে এককালীন বা ধাপে ধাপে কিস্তি নির্ধারণ করে ইউরোপের পথে পাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপ পাঠানোর ক্ষেত্রে দালালরা ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার বেশি অর্থ নিয়ে থাকে। এরমধ্যে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লিবিয়ায় যাওয়ার আগে, বাকি টাকা লিবিয়ায় যাওয়ার পর আদায় করা হয়। দেশ থেকে লিবিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল চক্র বেশ কয়েকটি রুট ব্যবহার করে থাকে। সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী মাঝে মধ্যে পরিবর্তন অথবা নতুন রুট নির্ধারণ করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-কলকাতা-মুম্বাই-দুবাই- মিশর-বেনগাজী-ত্রিপলী (লিবিয়া) রুট ব্যবহার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, দুবাইয়ে পৌঁছে ইউরোপ গমনেচ্ছুকদের বিদেশি এজেন্টদের তত্ত¡াবধানে ৭ থেকে ৮ দিন রাখা হয়। বেনগাজীতে পাঠানোর আগে সেখান থেকে কথিত মরাকাপা নামে একটি ডকুমেন্ট দুবাইতে পাঠানো হয়। যা দুবাইয়ে অবস্থানরত বিদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে ভিকটিমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর ডকুমেন্টসহ বিদেশি এজেন্ট মিশর ট্রানজিট নিয়ে লিবিয়ার বেনগাজীতে পাঠায়। বাংলাদেশি এজেন্ট তাদেরকে বেনগাজী থেকে ত্রিপলীতে স্থানান্তর করে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন