বগুড়ায় এক গৃহবধূর (৩২) কাছ থেকে তালাকনামায় স্বাক্ষর নিতে না পেরে শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে মারধর করেছে। নির্যাতনের পর মাথার চুলও কেটে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতভর নির্যাতনের পর আজ রোববার ভোরে গৃহবধূ পালিয়ে এসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে বগুড়া সদর উপজেলার উত্তর লাহিড়িপাড়ার বেলাল হোসেনের মেয়ের (৩২) সঙ্গে একই এলাকার মধুমাঝিড়ার মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের পারিবারিক কলহ লেগে যায়। এরমধ্যে তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার কথা বলে। এক পর্যায়ে গৃহবধূ রাজি না হলে ননদ ও শাশুড়ি মিলে গতকাল রাতে ঘরে আটকে রাখে। এরপর তালাকনামায় স্বাক্ষর দিতে জোর করে। স্বাক্ষর না করায় তাকে মারধরের পর এক পর্যায়ে মাথার চুল কেটে দেয়।
গৃহবধূর চাচাতো ভাই রুবেল আহম্মেদ দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘নির্যাতনের পর আমার বোনের মাথার চুল কেটে দিয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়িপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাফতুন আহম্মেদ বলেন, ‘গৃহবধূকে মারপিট ও চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। তাদের বিয়েটা নিজেদের আত্মীয়ের মাঝে হয়েছে।’
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন