শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকার পরও গ্রামের বাড়িতে বিয়ে করলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার এক যুবক। শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২৩ মে তিনি ঢাকায় নমুনা দিয়েই গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারায় চলে আসেন। এসেই পরের দিন ২৪ মে লুকিয়ে বিয়ে করেন পাবনার ঈশ্বরদীতে। এর পাঁচ দিন পর এই যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর আসে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, ‘বর্তমানে নব-দম্পতিরা ভেড়ামারায় অবস্থান করছেন। বর করোনা পজিটিভ হওয়ায় আমরা তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করেছি। সেই সাথে পুনরায় করোনা পজিটিভ ওই বর যেন শ্বশুর বাড়িতে না আসে এজন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বাড়ি থেকে কাউকে বাইরে বের না হতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
বাড়ির সকলের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিয়ের রীতিনীতি মেনে গত বৃহস্পতিবার বউ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান রাসেল। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে জানানো হয় তার করোনা পজিটিভ। এ খবর জানার পরেই ঈশ্বরদী থেকে নতুন বউ নিয়ে আবারও ভেড়ামারায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন রাসেল।
করোনা আক্রান্ত ছেলের সাথে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সন্ধ্যায় রাসেলের শ্বশুরবাড়িটি লকডাউন করে দেয়।
প্রতিবেশী ইমরান হোসেন জানান, ওই যুবক বিয়ের পর নতুন বউকে তার ভেড়ামারার বাড়িতে নিয়ে ৪ দিন অবস্থান করেন। ঈশ্বরদী থেকে ভেড়ামারায় জামাই বাড়িতেও বেড়াতে যান মেয়ের পরিবারের লোকজন।
এদিকে করোনা পজিটিভ রাসেলের কোনো তথ্য অফিসিয়ালভাবে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আসেনি বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ। তিনি বলেন, ‘রাসেল করোনা পজিটিভ এমন কোনো তথ্য অফিসিয়ালি আমাদের কাছে আসেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঈশ্বরদী থানা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন