শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান। তিনি নিজে একজন ভাইরোলোজিস্ট, অর্থ্যাৎ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। ভাইরাস নিয়ে তার গবেষণা কম নয়। এ রোগের চিকিৎসকও তিনি। ভাইরাসক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে সম্প্রতি নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এ। নমুনা পরিক্ষার পর তাকে চলে যেতে হয়েছে আইসোলেশনে। আর ১৫ দিনের এই আইসোলেশন শেষে তিনি বলেছেন, সঙ্গ না পেলে তার এই ১৫দিন জাহান্নাম হয়ে যেত।
করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ফেসবুকে বিভিন্ন কারণে পারিবারিক ছবি খুব একটা দিই না। আজকে দিতেই হচ্ছে, কারণ এই দুইজন (স্ত্রী ও ছেলে) না থাকলে গত পনের দিন আমার জাহান্নাম হয়ে যেত। একা একা থাকা যায়, কিন্তু এক বাসায় তিনজনের মধ্যে একজন আলাদা একটা রুমের মধ্যে আইসোলেশনে থাকা, তারপর আবার নিজের শরীর থেকে তাদের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা, এক কথায় কঠিন পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, এজন্যই কামনা করি কাউকে যেন এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যেতে হয়। তবে এটাও ঠিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলে বুঝতে পারতাম না, এত মানুষ আমাকে এত ভালবাসে। যাই হোক, ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপাতত দূরে থাকার অবসান হয়েছে। আমার পরপর দুটো পিসিআর টেস্টে কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসছে। ছবির বাকি দুইজনও এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ নেগেটিভ।
তার দুই নিকটজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দুটো রিপোর্টই অবিশ্বাস্য দ্রুততায় জানিয়ে দেয়ার জন্য রোকসানা রাইহান আপা এবং দোস্ত মোহাম্মাদ জামালুদ্দিন সাইফকে অশেষ ধন্যবাদ। কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সঙ্গে যেন মানবিক আচরণ করা হয় সেই আহ্বানও জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন