ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মাদকের কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় আবু নাছের (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গত ২৬ মে বিজয়নগর থানায় মামলা করা হয়েছে।
আহত আবু নাছের বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি উপজেলার সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে এবং স্থানীয় আউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী।
ADVERTISEMENT
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদকের কারবারে জড়িত সেজামূড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া ও তার চক্রের বিরুদ্ধে গত ২৩ মে বিকেলে গ্রামের ৬০-৬৫ জন মুরব্বি ও যুবকদের নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে মাদকবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবু নাছের ওই সভার আয়োজকদের একজন। ওই সভা থেকে সেজামূড়া গ্রামের ওপর দিয়ে মাদকের কারবার করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আহত আবু নাছের জানান, সভার পরদিন ২৪ মে সকালে তার দাদী মারা যাওয়ায় কাফনের কাপড় কিনতে আউলিয়া বাজার যান তিনি। কাপড় কিনে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কাউসারসহ ১২/১৪ জন তার পথরোধ করে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন।
পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সেজামূড়া গ্রামের বাসিন্দা বাছির মিয়া বলেন, যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছে। এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় গত ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় গোয়ালনগর সড়কে কাউসার ও তার বাহিনীর লোকেরা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা আবু কাউসার ভূঁইয়া বলেন, নাছের আমার প্রতিবেশী। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে সেদিন তার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন