সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে থাকা এক কিশোরী ধর্ষকদের হাত থেকে কোনোমতে পালিয়ে বাঁচে। পরে এলাকাবাসী ৩ ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করে। এক ধর্ষক পালিয়ে যায়।
আটকরা হল- চরপাড়া গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে শুকুর আলী, মকবুল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম ও শাহজাহান আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন। পলাতক অপর জনের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যায় ওই কলেজ ছাত্রী প্রতিবেশী এক কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে একই এলাকার এক কবিরাজের বাড়ি যান। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় বাড়ির অদূরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শুকুর আলীসহ ৪ জন তাদের দুজনকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে যায়।
এরপর পাটক্ষেতে ওই কলেজছাত্রীর হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়া একই কায়দায় সঙ্গে থাকা ওই কিশোরীকেও ধর্ষণ করতে গেলে ধর্ষকের হাতে কামড় দিয়ে সে কোনোক্রমে পালিয়ে বাঁচে এবং চিৎকার চেঁচামেচি করে। পরে এলাকাবাসী ওই পাটক্ষেত ঘিরে ফেলে ৩ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে ধর্ষকদের মধ্যে একজন পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে আটক ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া পলাতক একজনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন