করোনার মধ্যে অভাবে পড়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের ভ্যানচালক ওহিদুল ইসলাম (৩৫) এর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম এবং কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম। শনিবার (২৩ মে) দুপুরে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী, নগদ ৩০ হাজার টাকা, স্থায়ী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একটি সেলাই মেশিন, থান কাপর ও অন্যান্য উপকরণ নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন এই দুই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল করোনার মধ্যে অভাবের তাড়নায় এবং ঋণের চাপে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অহিদুল ইসলাম (৩০)। মৃত্যুর আগে দুই-এক দিন চার সন্তান, মা ও স্ত্রীকে খাবার দিতে না পারায় তর মনে কষ্ট ছিল বলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, 'পরিবারটিকে আমি ও র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্যার সাধ্যমতো সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। এই সামান্য সহায়তা দিয়ে বিধবা নারীর পক্ষে তার চার সন্তানকে লালন-পালন করা কষ্টসাধ্য। কাজেই সমাজের বিত্তবানরা যদি পরিবারটির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন, তাবে অন্তত পরিবারটির সদস্যরা দু’বেলা খেয়ে বাচঁতে পারবেন।'
ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম বলেন, 'এর আগেও আমি ও পুলিশের কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে পরিবারটিকে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। কিন্তু এভাবে কতদিন? এ জন্য ওহিদুলের স্ত্রী সেলাইমেশিনে কাজ পারে জেনে, তাকে র্যাবের পক্ষ থেকে সেলাইমেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন