করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এভারেস্ট বিজয়ী বাংলাদেশি নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, এভারেস্ট জয় করা যদিও অনেক চ্যালেঞ্জের, তারপরও করোনার কাছে এই লড়াই কিছুই না। করোনার সঙ্গে তুলনাই চলে না। গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসব কথা বলেন এভারেস্ট বিজয়ী ওয়াসফিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রে কোয়ারেন্টিনে থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ ধরে আমি কোয়ারেন্টিনে আছি। ফরেন কান্ট্রিতে আমি সম্পূর্ণ একা। তখন আমার ভাই জানে না, বোন জানে না। আমার একটাই চিন্তা-আমি মরে গেলে আমার বডিটাকে নিতে আসবে..আমার ঘরের চাবিটা কারও কাছে নাই। একটা লকড রুমে আমি সম্পূর্ণ একা।’
এভারেস্ট বিজয়ী ওয়াসফিয়া বলেন, ‘ঢাকা থেকে জিজ্ঞেস করে তোমার সাথে কে আছে.. আসলে আমার কাছে কেউ নাই। কেউ যদি আমার কাছে আসে তাহলে সে আমার দ্বারা সংক্রমিত হবে। আমার এখানে আসলে কেউ আসবে না। আমার এই রুমটা সম্পূর্ণ ভাইরাস…যতক্ষণ পর্যন্ত অথরিটি ক্লিয়ার করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমিও বাইরে যেতে পারব না তারাও আসতে পারবে না। তাই ডাক্তররা যখন আসে, তখন সেভাবে প্রটেকশন নিয়ে আসে।’
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ঘুমাতে পারেননি ওয়াসফিয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘…আমি একটা রাতও ঘুমাতে পারিনি। কারণ আমি এতবার মরেছি যে…।’
করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার সঙ্গে হিমালয় জয় করার লড়াই আসলে কিছুই নয় মন্তব্য করে এই এভারেস্টজয়ী বলেন, ‘হিমালয়ে ২৬ হাজার ফুট উঠে সেখান নিঃশ্বাস নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়। তবে আমি এই কয়েকদিন ভুগে যেটা বুঝেছি তা হলো হিমালয় লড়াই করার সঙ্গে এর (করোনা) তুলনাই চলে না।’
ওয়াসফিয়ার সঙ্গে এই লাইভে যুক্ত ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনেত্রী তিশাসহ আরও দুজন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি অনুষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হন ওয়াসফিয়া। ১৩ মার্চ থেকেই তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ১৭ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।click here
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন