তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়ায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার বিপদ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ায় কঠোর সমালোচনা করে জাগো নিউজের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় সেলিম এমন মন্তব্য করেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ছুটি আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে সরকারের আগের ঘোষণার সঙ্গে দেশের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি দেয়া হলেও এবার সেই ছুটি বাড়ানোর কোনো ঘোষণা আসেনি। তাই ৫ এপ্রিল (রোববার) থেকে কারখানাগুলো খুলবে।
সেলিম বলেন, 'করোনা মহামারির' কারণে সরকার 'লক ডাউন' ঘোষনা করে দেশের সব নাগরিককে 'বাসায় থাকতে' বলেছে। রাস্তায় বের হলে গরিব রিকশাচালককে পিটিয়ে তার রিকশা ভেঙে দেয়া হচ্ছে, বৃদ্ধ দিনমজুরকে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখি শিল্পের (যার প্রধান আংশ হলো গার্মেন্টস শিল্প ) শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন।আমরা অবশ্য এ বাবদ ২৫,০০০ কোটি টাকা প্রদানের জন্য বলেছি।
বামপন্থি এই নেতা আরও বলেন, 'লক ডাউন' চলা অবস্থায় গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ায় গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের এখন ভিড় করে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।তাদের এখন গাদাগাদি করে থাকতে হবে, ভিড় করে কারখানায় যেতে হবে, সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই ডিউটি করতে হবে। ফলে 'করোনা' মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার বিপদ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবনের পাশাপাশি অগণিত দেশবাসীর জীবনাশঙ্কা সৃষ্টি হবে। এর দায় তাদেরই নিতে হবে, যারা গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
'দেশের ৫০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিককে যদি ১ মাসের বেতনে ছুটি দেয়া হয়, সেজন্য ৬,০০০ টাকা মজুরি ধরলেও মোট ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। তার চেয়ে বেশি টাকা তো প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন। তাহলে কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিক ও দেশবাসীকে 'করোনার' বিপদে নিক্ষেপ ও তার বিস্তারের বাহন করা হলো কেন?' যোগ করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন