'কাম কাজ কিছুই নাই। খুব কষ্টে পোলাপান লইয়া চলতাছি ভাই। আর কত দিন থাকবো ভাইরাস জানেন কিছু?' এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের শোলাকুড়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে ছফর আলী। মা এক বোন, তিন মেয়ে এক ছেলে ও স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ জন।
প্রতিবেশী খাদেমুল মামুন জানান, শোলাকুড়া গ্রামের মধ্যে ছবর আলীর পরিবারটি সব চেয়ে অভাবী। পরিবারের সদস্যরাও সহজ-সরল। ছফর আলীর একার উপার্জনে চলে আট সদস্যের পরিবারটি। কাঠের ফার্নিচার বার্নিশ করেই চলে ছফর আলীর সংসার। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কাজ না থাকায় পরিবারটি এখন দিশেহারা। তাদের অভাবের কথা কারো কাছে বলতেও পারছে না। তাই তাদের পরিবারের লোকজন এখন করোনা নিয়ে চিন্তিত না। চিন্তিত এক বেলা খাবার নিয়ে।
ছফর আলীর মা মনোয়ারা বেগম জানান, ছফরের বাবা গ্রামে গ্রামে ঘুরে আইস্ক্রিম বিক্রি করে সংসার চালাতো। ছেলে ছফর আলী বার্নিশ মিস্ত্রির কাজ করত। গতবছর ছফরের বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসারে টানাপোড়ন চলছে। আমার ছেলের পক্ষে ৮ জনের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। করোনাভাইরাস আসার পর এখন খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে কিন্ত কাউকে বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। দ্রুত পরিবারটির কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন