লন্ডন থেকে এলাকায় হত-দরিদ্র্যদের আর্থিক সহায়তা করার জন্য সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বারুহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ওয়েব সাইটে দরিদ্র্যদের নামের তালিকা খুঁজতে যান সোহেল সরকার নামে এক প্রবাসী। খুঁজতে গিয়ে দেখেন তালিকার প্রথম ৯ জনই প্রবাসী। তারা সবাই সোহেলের নানার বাড়ির আত্মীয়।
সোহেল সরকার উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের সাহাদত সরকারের ছেলে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। তালিকার সবাই একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী সগুনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে বসবাস করছেন।
প্রবাসী সোহেল সরকার ওই তালিকাটি দেখে বিষয়টি তাড়াশের পরিচিত সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান। এরপর স্থানীয় সাংবাদিকরা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখতে পান, বারুহাঁস ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় থাকা প্রথম ৯জনই প্রবাসী।
এ প্রসঙ্গে বারুহাঁস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন জানান, ‘প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকা অনেক আগে থেকেই করা। সেভাবেই রয়ে গেছে। তবে অন্য ইউনিয়নের লোকজনের নাম থাকার কথা না।’
তবে এ কথা বলার আধা ঘণ্টা পরেই ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য ভাতার সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা সেখানে বিদ্যমান থাকলেও অভিযোগ ওঠা ওই প্রবাসীদের নামের প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্তদের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, তিনি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি দেখে পরে জানাবেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফ্ফাত জাহান স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, ‘বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন