সরকারের দাবি, এখনও দেশে করোনাভাইরাসের কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। দেশটিতে স্বৈরাচারী শাসন চলছে বহু বছর ধরেই। নেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। তাই কেউ হয়তো করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ প্রচার করতে পারে- এমন আশঙ্কায় দেশটিতে ‘করোনা ভাইরাস’ শব্দই নিষিদ্ধ করেছে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান।
রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ প্রকাশ্যে করোনাভাইরাস শব্দটি উচ্চারণ করতে পারবে। কেউ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ২০০৬ সাল থেকে তুর্কমেনিস্তান শাসন করছে বার্দিমুখাবেদভের কর্তৃত্ববাদী সরকার।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইরানে। তুর্কমেনিস্তানের দক্ষিণের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দেশটির আশেপাশের মধ্য এশিয়ার অন্যান্য বহু দেশে শত শত করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
এনপিআরের খবরে আরও বলা হয়, দেশটিতে দমনপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম থাকায় সেখানে সংবাদ মাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই। গুটিকয়েক স্বতন্ত্র সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে ক্রনিকলস অব তুর্কমেনিস্তান নামে একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সরকার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমকে করোনাভাইরাস শব্দটি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল ও অফিসে বিতরণকৃত পুস্তিকা থেকেও শব্দটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
রেডিও ফ্রি ইউরোপের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, জনসম্মুখে এই রোগ নিয়ে আলোচনা করলে, এমনকি মুখবন্ধনী পরিধান করলেও লোকজনকে আটক করছে সাদা পোশাকের পুলিশ।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া ডেস্কের প্রধান জিয়ান ক্যাভিলিয়ের বলেন, ‘তথ্য বাধাগ্রস্ত করার ফলে তুর্কমেন নাগরিকরাই কেবল ঝুঁকিতে পড়ছে না, এতে করে প্রেসিডেন্ট গুর্বাঙ্গলি বার্দিমুখামেদভের কর্তৃত্বই প্রবলভাবে ফুটে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া আশা করছি। আহ্বান জানাচ্ছি, তার পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘণের জন্য তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন