ঢাকার ধামরাইয়ের ঠাণ্ডা ও কাশিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে বাবারবাড়িতে গিয়েও ঠাঁই পাননি গৃহবধূ পারভীন আক্তার (২২)।
নিরুপায় হয়ে রাস্তার পাশে একটি আমগাছের নিচে বসে কান্না করতে থাকলে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।
ওই গৃহবধূকে ওই জনপ্রতিনিধির সহায়তায় উপজেলা মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার দেহে করোনা ভাইরাসের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের গাঁওয়াইল গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাঁওয়াইল গ্রামের পারভীন আক্তার আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠাণ্ডা-কাশি জনিত রোগে আক্রান্ত হন। এ কারণে মঙ্গলবার তাকে ওই গৃহবধূর শ্বশুরালয় থেকে বের করে দেয়। অনেক আকুতি মিনতি করে তাড়িয়ে না দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তার কোনো কথায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শুনেনি।
পরে তিনি নিরুপায় হয়ে একই গ্রামে তার বাবা মো. জবেদ আলীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়েও তার অসুখের কথা শুনে তার ভাইয়ের স্ত্রীরা তাকে রাখতে আপত্তি জানায়।
এরপর তিনি হতাশ হয়ে রাস্তার ধারে গাছতলায় বসে কান্না করছিলেন। এ সময় ঘটনাটি নজরে পড়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ. রেজাউল করিমের। তিনি ওই গৃহবধূর কাছে কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি ওই ইউপি সদস্যের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন।
পরে ওই ইউপি সদস্য ঠাণ্ডা-কাশির পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে করোনার কোনও আলামত তার দেহে না পাওয়ায় তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে না পাঠিয়ে ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে পাঠিয়ে দেন।
ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, সবকিছু শুনে আমিই তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাদের ভুল ভাঙলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর ইফফাত আরা জানান, ধামরাইয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কারও দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আল্লাহর রহমতে ধামরাই উপজেলার মানুষ এখনও পর্যন্ত ভাল আছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন