নেই কোনও আনাগোনা, দিনের বেলাতেও শুনশান নিরবতা। ভোর হতেই যে রাজধানী জেগে উঠে কোলাহলে, সেই রাজধানী এখন কোলাহলমুক্ত। নেই মানুষের সমাগম। পুরো রাজধানী নিরব-নিস্তব্ধ। এই চিত্র শুধু রাজধানী নয়, গোটা বাংলাদেশ। এ যেন লকডাউন।
যদিও করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকার লকডাউনের আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। দোকান মালিক সমিতি বুধবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুধু খোলা রয়েছে ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান।
দেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ হলো। লঞ্চ, রেল ও বিমান চলাচল আগে থেকেই বন্ধ। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জেলায় রাস্তায় লোক চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে রাজপথ যেন পরিণত হয়েছে বিরানভূমিতে।
বুধবার থেকেই রাজধানী থেকে কোনও পরিবহন ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও কোনও পরিবহন ছেড়ে আসছে না। একসঙ্গে দুই জন চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এ কারণেই ঢাকা এখন একেবারেই ফাঁকা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফার্মগেট, মহাখালী, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, বিভিন্ন স্থানে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। একসঙ্গে একাধিকজন দেখলে সচেতন করে দেয়া হচ্ছে। টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর গাড়ি। তারা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দেখলেই থামাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাদের, পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ঘরে থাকার।
রাজধানীর বাহিরের জেলাগুলোতে মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। সেনা সদস্যরা বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, জনসমাগম রোধ করা, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন। অপ্রয়োজনে মানুষজন যেন রাস্তায় ঘোরাঘুরি না করে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন তারা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন