গাজীপুরের টঙ্গীতে বলৎকারে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বলৎকারের এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. আল-আমিন।
সে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৬নং ব্লকের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মাহিন ও হ্নদয় নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, নিহত আল-আমিন তৃতীয় শ্রণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। পরিবারের অভাব মেটাতে কয়েক বছর ধরে একটি লোহার দোকানে কাজ করছিল সে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে ইসলামিক আলোচনা শুনতে একই এলাকার চার বন্ধু মিলে আল-আমিনকে বাসা থেকে ডেকে ইজতেমা ময়দানের টিনসেড মসজিদে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে রুটি খেতে দেয় তারা। রুটি খাওয়ার এক পর্যায়ে জ্ঞান হারায় আল-আমিন। পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরলে বাড়ি ফিরে এসে কাউকে কিছুই জানায়নি সে।
ঘটনার একদিন পর শনিবার নির্যাতিত কিশোর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে তাৎক্ষণিক টঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিশোরটির মলদ্বারে গুরুতর জখম রয়েছে বলে চিকিৎসকরা তার অভিভাবকদের জানান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে (২৬ মার্চ) বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম একই এলাকার মান্নান সর্দারের ছেলে মাহিন (১৫), ইউসুফের ছেলে হ্নদয় (১২), ফজর আলীর ছেলে কায়সার (১৫) ও জয়নালের ছেলে সাইফুলের (১৪) বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন