এমন দৃশ্য কেউ দেখেনি আগে। জনশূন্য শহর থেকে গ্রাম। সবাই ঘরবন্দি। মরণব্যাধি করোনা আতঙ্কে স্থবির পুরো পৃথিবী। বাংলাদেশেও করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯তম বাষির্কী।
দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সারা দেশে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ, জেলা উপজেলায় কুচকাওয়াজ ও সব জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও স্বাধীনতা দিবসের সব কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনও তাদের কর্মসূচি বাতিল করে। তবে জনসমাগম এড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় সংক্ষিপ্ত আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিভিন্ন জেলা শহরে পতাকা উত্তোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। এদিন প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ন্যূনতম সংখ্যক উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করেছে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ন্যূনতম উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন