করোনা বিষয়ক সরকারের মুখপাত্র ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। প্রতিদিন টেলিভিশনে আসেন। নতুন নতুন তথ্য ও হরেক রকমের পরামর্শ দেন। কিন্তু যারা মারা যান তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করেন। বলেন, যিনি মারা গেছেন তিনি বয়স্ক। ৬০ এর উপর বয়স। এর অর্থ কি? ৬০ এর উপরে মারা গেলে অসুবিধা নেই? তিনি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেও আপত্তি করার কিছু নেই? ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কি জানেন, ৬০ এর উপরে মানুষের সংখ্যা কত? যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তাদের সবার বয়স ৬০ এর উর্ধ্বে। এমনিতে ফ্লোরা প্রতিদিন মানুষকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দেন।
অনেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। আইইডিসিআরের স্বীকৃতি ছাড়া। তথাকথিত হটলাইনে তার দপ্তর থেকে ভুল তথ্যও দেয়া হয়।
পরীক্ষা ছাড়াই সেব্রিনা নিজেই নাকি বলেন, যা শুনলাম তাতে মনে হয়, আপনার করোনা হয়নি। প্রতিদিন আমাদের দপ্তরে এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আসছে। দুনিয়ার শক্তিমান প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীরা প্রায় প্রতিদিন জাতিকে খবরা খবর জানাচ্ছেন, সাহস দিচ্ছেন। সেখানে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার ওপর এই দায়িত্ব ছাড়ার মধ্যে কি আনন্দ আছে তা বলা সত্যিই কঠিন। অনেকেই বলেন, তিনি নাকি ইতিমধ্যে ‘তথ্য গোপনে’ বিশ্বাসযোগ্যতার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন।
মানবজমীনের এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন পাঠক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এদের মধ্যে জাকিরুল মোমিন প্রশ্ন তুলে বলেছেন প্রতিদিন যারা আক্রান্ত হয় বা মৃত্যবরণ করে তাদের ঠিকানা কি বলা বারণ?
ইকবাল কবির নামে আরেক পাঠক মন্তব্য করেছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের পরিচয় ও এলাকা গোপন থাকায় তা আরো সংক্রমণের আশংকা থেকে যাচ্ছে,কারণ ওই এলাকা বা প্রতিবেশীরা সাবধান হতে পারছেন না।এই মৃত্যু কোন লজ্জার বিষয় নয় বরং সতর্কতার বিষয়। আদিসের বর্ননা অনুযায়ী এই মৃত্যু শহীদ এর মর্যাদা দেয়া হয়েছে।জাকারিয়া সাইমুম বলেন, ভাইরাসের তথ্য গোপন করা, ভাইরাসের চাইতে ভয়ংকর।
মহসিন বলেন, দেশে গত ২ দিনে একজনও করোনা আক্রান্ত রোগী নাকি সনাক্ত হয়নি। অন্যদিকে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর। এখন আমরা কিভাবে নিশ্চিত হবো যে, এসব মৃত্যুর একটিও করোনা জনিত কারণে হয়নি। তথ্য গোপন করা হলে করোনা প্রতিরোধ তো হবেইনা, বরং এটি আরও ছড়িয়ে যাওয়াকে তরান্বিত করবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন