ধর্ম বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশিদের নিপীড়নের শিকার হতে হয় বলে মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি যে মন্তব্য করেছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ওই মন্তব্যকে ‘পক্ষপাতমূলক ও হতাশাজনক’ আখ্যা দেয়া হয়। সিনেটর চাক গ্রাসলি মার্কিন সিনেটের অর্থনৈতিক কমিটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পরই তার অবস্থান। সে হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ শীর্ষ ব্যক্তি। মঙ্গলবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশগুলোতে বসবাসরত নাগরিকদের সহায়তা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তারা স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছে এবং কেবল ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গ্রাসলিকে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে বক্তব্য সংশোধনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, সিনেটর গ্রাসলির বক্তব্য সত্যের অপলাপ।
বাংলাদেশ দূতাবাস ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গত বছর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতকে উদ্বেগজনক দেশের তালিকায় দ্বিতীয় শ্রেণি ও পাকিস্তানকে প্রথম শ্রেণিতে রাখা হয়। তবে বাংলাদেশ উদ্বেগজনক দেশের তালিকায় ছিল না। এরপরেও বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন সিনেটরের এমন মন্তব্যে বিস্মিত দূতাবাস কর্মকর্তারা। শামিম আহমেদ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, গ্রাসলির বক্তব্য মার্কিন কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করতে সিনেটর গ্রাসলিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন