বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রশ্নে প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলির সাম্প্রতিক মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে আমেরিকার বালাদেশ দূতাবাস। গত মঙ্গলবার সিনেটর গ্রাসলি দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশিদের একাংশকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার বক্তব্যকে ‘পক্ষপাতমূলক ও হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটর গ্রাসলি বলেন, ‘রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশগুলোতে বসবাসরত নাগরিকদের সহায়তা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তারা স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছে এবং কেবল ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার গ্রাসলিকে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য সংশোধনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিনেটর গ্রাসলির বক্তব্য সত্যের অপলাপ; বাংলাদেশ দূতাবাস ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শামিম আহমেদ বলেন, ‘দূতাবাস পরিষ্কার ভাষায় বলছে, মার্কিন সিনেটর গ্রাসলির মন্তব্য শুধু পক্ষপাতমূলকই নয় বরং এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও। স্পষ্টত, তার বিবৃতি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি মার্কিন কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তাদেরকে মৃত্যুর হাত বাঁচিয়েছে ঢাকা। এরপরও বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করার পরিবর্তে উদ্বেগ জানানোয় ‘তীব্র হতাশা’ প্রকাশ করেছে দূতাবাস।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন