বরিশাল নগরের রূপাতলী এলাকায় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালক শাখায় নির্যাতনের শিকার শিশু হযরতকে রাতের আঁধারে গোপনে অন্যথায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্বরত কেইস ম্যানেজার মো. আলামিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিশু হযরতকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। গত ৪ ফেব্রয়ারি রাতে হযরতকে তার পরিবারের সদস্যরা নিতে আসলে অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী স্যার বাসুদেব দেবনাথ তাদের তুলে দেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ,জাতীয় দৈনিক, বেসরকারি টেলিভিশনসহ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশিত হলে নিজেকে বাঁচাতে প্রকল্প উপ-পরিচালক বাসুদেব দেবনাথ নির্যাতনের শিকার শিশু হযরতকে রাতের আঁধারে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকল্প উপ-পরিচালক বাসুদেব দেবনাথ বলেন, অফিসিয়াল ভাবেই হযরতকে তার পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে কোন উওর না দিয়ে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
সূত্রানুযায়ী জানা যায়, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বালক শাখায় দুই শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন ও একই সঙ্গে কেন্দ্রের শিশুদের দিয়ে ভারি কাজ করানোর একটি ভিডিও ও লাকড়ি বহনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সর্বত্র তোলপাড় শুর হয়।
এ ঘটনায় বরিশাল জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহপাড় পারভীন বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শিশু হযরতকে তার পরিবারের কাছে দেওয়ার কথা ছিল। একটু দিতে দেরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়টি সবারই জানা। তাই বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করার কোন অবকাশ নেই। গঠিত তদন্ত কমিটি শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্ত প্রমানিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন