ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে গড়ে ওঠা মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর করে নদীর সীমানার বাইরে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীর ভূমিতে বিদ্যমান মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ করতে চাই না, আমরা এটাকে সমন্বয় সাধন করতে চাই। এই জায়গায় পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তুলতে পারি কিনা- তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ করছি।
তিনি বলেন, এ জন্য একটি প্রকল্প নিতে হবে। প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর আমরা বাস্তবায়নে যাব। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্ভে করে প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে। এ জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করতে হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
সভায় জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদী দখল করে ১১৩টি ধর্মীয় স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার রয়েছে ৭৭টি, কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা ৫টি, ঈদগাহ একটি, স্কুল ও কলেজ ১৪টি, স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট ১৩টি এবং অন্যান্য স্থাপনা ৩টি।
এ সব প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, এগুলো আমাদের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত। সেগুলোতে আমরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি, আমরা আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, আমরা সমন্বয় করব। নদীর জায়গায় মসজিদ হবে না, স্থানান্তর হবে, তবে সেটা আলোচনা করেই হবে। এখানে কোনো ফোর্স অ্যাপ্লাই করা হবে না। ঢাকাকে বসবাসেরযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই।
বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা কেউ অব্যাহত রাখলে এ ক্ষেত্রে সরকার শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় নৌমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, বিআইডব্লিউটিএ, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন