মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনেক সচ্ছলদের নামে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আজিরুন বেগমের ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ঘর।
সরকারি দপ্তরে আবেদন করেও পাচ্ছেন না কোন ঘর। পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলার রহিমপুর ইউপির কালেঙ্গা গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউপির কালেঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিক মিয়ার স্ত্রী আজিরুন বেগম ২ ছেলে ৪ মেয়েসহ ১২ জনের সংসার। বড় ছেলে জয়নাল মিয়া ১২ বছর আগে নিখোঁজ হন। দ্বিতীয় ছেলে কামাল মিয়া বিবাহিত ও স্ত্রী ছেলেমেয়ে রয়েছে, রাজমিস্ত্রি কাজ করে। ৪ মেয়ের মধ্যে ২ জনের বিয়ে হয়েছে আর ২ জন অবিবাহিত । ২০০৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়া মারা যান।
আজিরুন বেগমের দ্বিতীয় ছেলে কামাল মিয়া রাজমিস্ত্রির উপার্জিত টাকা এবং স্বামীর মাসিক ভাতা হিসাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ১২ সদস্যের অভাবের সংসার চলছে। পরিবার বড় হওয়ায় নিজের বসবাসকৃত ঘরটি জীর্নদশায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি যে ঘরে বসবাস করছে তার অবস্থা করুণ। ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে কমলগঞ্জে ৩ শতাধিক ঘর নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘরও তার ভাগ্যে জোটেনি।
আলাপকালে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আজিরুন বেগম জানান, বৃষ্টি হলে ঘরের চাল দিয়ে মেঝেতে বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। এক ঘরে ১২ সদস্য পরিবারটি গাদাগাদি করে জীর্ণ অবস্থায় রাত্রিযাপন করে থাকেন। একাধিকবার একটি ঘরের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলেও কোন সুফল পাননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঘর সম্পর্কে জানেন না। তবে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি ঘর নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করবেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আজিরুন বেগমের বিষয়টি এখন কিছু বলতে পারব না। ঘরের তালিকা দেখে বিস্তারিত বলতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন