পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘আমি বলেছি, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করে দেখেন। এবং হাস্যরস করে বলেছি- এটা খাওয়া যায় কিনা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা খাওয়াতে কোনো ক্ষতি আছে কিনা, একজন ভদ্রলোক বললেন- গরু ছাগল তো খায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কচুরিপানার ফুল তো আমি নিজে খেয়েছি। বেসনে ডুবিয়ে আমার মা ছোটবেলায় ভাজতেন, চ্যাপটা করে। খুব চমৎকার হয়। এটা খুব মিস করি।’
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মূলত ‘গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এমএ মান্নান বলেন, ‘আগে বইতে পড়তাম কাঁঠালের আমসত্ত্ব। কাঁঠালের আমসত্ত্ব এখন বাস্তবেই আছে। আমি ওইটাই বলেছি আর কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কি বলেছি, বাংলার মানুষ সব কচুরিপানা খান, ননসেন্স। আচ্ছা, আমি কি বাংলার মানুষ নই, আমার মা-বাবা কি বাংলার মানুষ নয়। এটা কী ধরনের কথা হলো।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা, কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনোমতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন