আসন্ন ঢাকার দুই সিটিতে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও দিচ্ছেন নির্বাচনি ইশতেহার। তবে নগরবাসী বলছেন, ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয় নাম মাত্র। বাস্তবতার আলোকে প্রার্থীদের ইশতেহার দেয়ারও পরামর্শ ভোটারদের। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই প্রার্থীরা হাজির হন নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে। মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহারে ঘুরে ফিরে এসেছে আধুনিক-বাসযোগ্য-সবুজ ও নারীবান্ধব নগরী গড়াসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা। এরপরও প্রতিশ্রুতিতে আস্থা পাচ্ছেন না ভোটাররা। এক্ষেত্রে আগের অভিজ্ঞতাকেই কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন তারা।
ভোটারা বলেন, মেয়র প্রার্থীরা যারা আছেন তারা বেশিরভাগই কথার ফুলঝুড়ি দেয় কিন্তু তারা ২০/২৫ ভাগ কাজ করে।সবাই আসলে অনেক ইশতেহার দিয়ে কথা বলে। কথার সৌন্দর্য থাকে কিন্তু পরবর্তীতে কাজের আর বাস্তবায়ন হয় না।নির্বাচনি ইশতেহারে কিভাবে আস্থা থাকবে তারা বলে এক রকম কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরে তারা আর আমাদের মনে রাখে না।
মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহার ঘোষণা বড় পরিসরে হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরছেন নিজ নিজ ওয়ার্ডের নানা সমস্য সমাধানের পরিকল্পনা। আবার অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা দেয়ার।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা বললেছন, আমার ইশতেহার তৈরি করেছি দুই স্তরে কর্মপরিকল্পনা দিয়েছি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছি। আমরা ভবিষ্যতে কি করবো এবং কি সেবা দিবো কিছু কিছু খন্ডন করা আছে সেগুলোকে আমরা ইশতেহার মনে করি।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা আরো বলেন, সমস্যাগুলো এ্যাপসের মাধ্যমে সমাধান করবো। তেমনিভাবে আমরা জনগণের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিবো। কোনটা করলে তাদের ভোগান্তি কম হবে সেটাই করার চেষ্টা করবো আমরা।
আরো এক কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, মিরপুর ৫নং ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায়ভুক্ত করা হবে। কোনো প্রকার অপরাধ যাতে এই ওয়ার্ড না হয় সেদিকে আমার নজর থাকবে।সিটি করপোরেশনে অনেক মানুষ ঘর-বাড়ি করতে পারছে না কারণ, পয়ঃনিষ্কাশনের জায়গায় নেই সে দিকে আমি আমার এলাকায় নজর দিবো।
তবে নগরবাসী বলছেন, ইশতেহার দেখে নয়, নাগরিক সমস্য সমাধানে যে প্রার্থী যোগ্য তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেয়া হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন