বুয়েটের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ১৫৯ কোটি টাকার ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকেই নানান অভিযোগ উঠেছে।
‘বাংলা প্রোজেক্ট’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পুর্ণাঙ্গ বাংলা করপাস উন্নয়ন, কথা থেকে লেখা ও লেখা থেকে কথায় রূপান্তর সফটওয়্যার উন্নয়ন, বাংলা ফ্রন্ট রূপান্তর ইঞ্জিন, বাংলা যান্ত্রিক অনুবাদক উন্নয়ন, স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার উন্নয়নসহ মোট ১৬টি বিষয়ের ওপর কাজ করা হয়। বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৯৯৫ কেজি খিচুড়ি রান্না করে বিশ্ব রেকর্ড ≣ সকল রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়লেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান, আহত হয়েছে রাজপরিবার, জানালো বাকিংহাম প্যালেস ≣ মাদকের কারণে যে ব্যক্তির দাঁত পড়ে যায়, তার পক্ষে কাউকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ তো দূরে থাক, নিজেকে টেনে তোলার ক্ষমতাই থাকে না
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হাতে রয়েছে পুরো প্রকল্পটি। বুয়েটকে কারিগরি বা টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিসি। পরবর্তীতে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক টার্মস অব রেফারেন্সেস (টিওআর) লেখার নাম করে মূল্যায়ন কমিটিও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।
তারই অংশ হিসেবে প্রাথমিক অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমসকে ১৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬০ টাকার তিনটি কাজ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘স্পেলিং অ্যান্ড গ্রামার এরোর চেকার’ প্রকল্পের জন্য বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভ্র, নিকষ বাংলা (সরকারি অর্থায়নে তৈরি), অঙ্কুর, মজিলা অ্যাড অন, শুদ্ধ শব্দ, সৃষ্টি, গুগলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান অফলাইন ও অনলাইনে বিনামূল্যে বাংলা স্পেলিং চেকার সেবা দিচ্ছে। সেখানে প্রায় একই জিনিস তৈরি করার জন্য নেয়া হচ্ছে সাড়ে ৫ কোটি টাকার চেয়েও বেশি।
কাজের তুলনায় বাজেট অনেক বেশি: স্বীকার করলেন রিভ সিস্টেমসের সিইও
কাজের তুলনায় বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে সেটা স্বীকার করে রিভ সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আজমত ইকবাল যুগান্তরকে বলেন, ‘ওদের সঙ্গে যদি তুলনা করেন তাহলে বলবো ওদের কাজের তুলনায় এটার বাজেট অনেক বেশি। কিন্তু এখানে কাজের স্কোপ আছে যেটা কিনা ওদেরটাতে নেই।’
তিনি বলেন, ‘অভ্র বা এই জাতীয় সফটওয়ারে তারা যেটা করে সেটার নাম ‘‘নন ওয়ার্ড এরোর’’। নন ওয়ার্ড এরোর মানে হচ্ছে আপনি একটি টাইপ করলেন কিন্তু সেটা ডিকশনারিতে যদি না থাকে তাহলে সেটাকে এরোর হিসাবে দেখাবে।’
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ধরুন, আপনি যখন লিখবেন- তুমি ভাত খান। তুমির সঙ্গে কিন্তু খান শব্দটা যায় না। এটাকে বলে কনফ্লিকচুয়াল এরোর। কনফ্লিকচুয়াল এরোরে বিশাল মেশিন লার্নিং কাজ রয়েছে। তারা (ফ্রি প্রতিষ্ঠানগুলো) কিন্তু কনফ্লিকচুয়াল এরোর ব্যবহার করে না।’
প্রকল্পের অগ্রগতি কতদূর?
প্রকল্পের বিষয়ে আজমত ইকবাল বলেন, ‘বাংলা প্রকল্পের মোট বাজেট ১৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে কিছু কাজ আমরা পেয়েছি। সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের এই কাজটির একটা অংশ রয়েছে বুয়েটের সঙ্গে। তারা এটা টেস্ট করবে। এরপর তিন বছর আমাদের মেইন্টেইনসে থাকবে।’
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলা স্পেলিং গ্রামার দেড় বছরের প্রকল্প। এটার জন্য আরও ৮ মাস সময় আছে এবং আমরা এই সময়ের মধ্যে আশা করছি কমপ্লিট করতে পারবো। তবে এটার বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে।’
বুয়েটকে কারিগরি বা টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিসি। বুয়েট তো মূল্যায়ন কমিটিতেও রয়েছে। তারা কি কেউ এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকতে পারে? উত্তরে আজমত বলেন, ‘তারা থাকতে পারে না। আমরা ডেভেলপমেন্ট শেষ করার পরে তারা প্রোজেক্টের পক্ষ থেকে টেস্ট করে দেবে। তারা কাজটা বুঝে নেবে। কিন্তু ডেভেলপমেন্টে তারা আমাদের সঙ্গে নেই।’
বাংলা প্রোজেক্ট নিয়ে রিভ সিস্টেমসের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই
বুয়েটের এই প্রোজেক্টের মূল বিষয়ের (ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ে) অভিজ্ঞতা অতি সীমিত। অথচ কুয়েট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। মূল্যায়ন কমিটিতে কেন তাদের কাউকে রাখা হলো না? বিসিবি বা মন্ত্রণালয়কে বোকা বানিয়ে রিভ সিস্টেমস এবং বুয়েট সিন্ডিকেট অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগে এই নিয়ে কাজ করেছে। তারাই এটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। তারপরেও তাদের নেয়া হলো না কেন? এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রিভ সিস্টেমসের সিইও আজমত বলেন, এই প্রজেক্টে তারা আমাদের সঙ্গে নেই। তবে তারা আমাদের সঙ্গে পরবর্তীতে অন্য একটি প্রকল্পে কাজ করার কথা রয়েছে।’
আপনাদের সঙ্গে কোনো ইউনিভার্সিটি কাজ করছে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলা স্পেলিং গ্রামারে আমার যতটুকু মনে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ডিপার্টমেন্ট রয়েছে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ রয়েছে। এরা কাজ করছে ল্যাঙ্গুয়েজ পার্টে।’
বাংলা প্রকল্প নিয়ে আগে কাজ করার তেমন অভিজ্ঞতাও নেই রিভ সিস্টেমসের। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে তারা বাংলা ভাষার ‘কথাকে বোঝা’ নিয়ে কাজ করেছে। সেই প্রকল্পটির মূল কাজ হচ্ছে- প্রশ্ন বুঝতে পারা এবং টিটিএসের মাধ্যমে প্লে করে শোনানো। এই মডেল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে রিভ কাজ করছে বলে দাবি করেছে। এর বাইরে বাংলা প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুই করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
বুয়েটের লুকোচুরি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) একদিকে রিভ সিস্টেমসের টেন্ডার বানানোর কাজ করছে। অন্যদিকে মূল্যায়ন কমিটিতে বসে নম্বরও দিচ্ছে। কয়েকবার এসব বিষয় প্রমাণিত হয় বুয়েটের অনেক শিক্ষক রিভ সিস্টেমসের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। এই নিয়ে অভিযোগ উঠলে বুয়েট ও রিভ সিস্টেমস সতর্ক হয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৪ কোটি টাকার কাজ সফলভাবে রিভ সিস্টেমসকে দিতে সক্ষম হয়েছে বুয়েট। আইসিটি মন্ত্রণালয় বা বিসিসি কেনই বা কারিগরি বা টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট এবং মূল্যায়ন কমিটিতে নিয়োগ দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলা প্রোজেক্টের যে কাজ রিভ সিস্টেমসকে দেয়া হয়েছে সেটার ডেভেলপমেন্ট বা সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে বুয়েট কাজ করছে কিনা? এমন প্রশ্ন করলে বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইসি) বিভাগের প্রধান ড. মো. মোস্তফা আকবর সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
তবে তাঁর কথা শুনে মনে হয়েছে বুয়েটের আলাদা আলাদা টিম ২০টি মডিউল নিয়ে কাজ করছে।
মোস্তফা আকবর বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের একটা টিম কাজ করছে। আপনি যদি আমাদের ডিপার্টমেন্টে একদিন সরাসরি আসেন তাহলে (যারা এই প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছে) তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। ফোনে এত কথা বলা যাবে না। এখানে ২০টি মডিউল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি মডিউল নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। আপনি আসুন আগে। এরপর কথা বলা যাবে।’
যার তত্ত্বাবধায়নে কাজটি হচ্ছে তার সেল নম্বর পাওয়া যাবে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানে একেকটি মডিউল একেক জনের দায়িত্বে রয়েছে। আপনি আসেন। আমি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।’
পরের দিন তার নির্ধারিত সময়ে বুয়েটে পৌঁছে তাকে ফোন করা হলে তার অফিস রুমে আসতে বলেন। কিন্তু যাওয়ার পর আর তার দেখা মেলেনি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার একজন সহকারী জানালেন, যে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে এসেছেন সেটা নিয়ে কাজ করেন প্রফেসর মো. মনিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে কথা বলুন।
মনিরুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার কল করার পর পাওয়া গেল। তবে বাংলা প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে গেলেন।
তিনি বললেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা করতে হলে আপনাকে আগে থেকে সময় নিতে হবে এবং ‘‘অফিশিয়াল চিঠি’’ নিয়ে আসতে হবে। এভাবে কথা বলা যাবে না।’ চিঠিটি কিসের, কোথা থেকে নিতে হবে? প্রশ্ন করতেই তিনি লাইন কেটে দেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুয়েটের একজন শিক্ষক জানালেন, ‘বুয়েটের একটি শক্তিশালী সক্রিয় সিন্ডিকেট সরকারের বাংলা প্রজেক্টের দেড় শত কোটি টাকা নানানভাবে হরিলুট করার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে রিভ সিস্টেমসের সঙ্গে প্রথম ডিলে গিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা অনুসন্ধান করলে কেঁচো খুঁজতে সাপ বেরিয়ে আসবে।’
বাংলা প্রকল্প নিয়ে সরকারের মনোভাব কী
‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্প নিয়ে সরকারের মনোভাব কী? এ বিষয়ে জানতে প্রকল্পের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) ড. মো. জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে গিয়ে জানা গেল তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
তবে এই প্রকল্পের কনসালটেন্ট মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আগামী মাসে পিডি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তিনি অনুরোধ করলেন।
বাংলা প্রোজেক্ট নিয়ে একজন মন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা হয়েছে। তবে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য মূলত কম্পিউটিং জগতে বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্প্রসারণে কাজ শুরু করা। প্রকল্পের শুরু থেকেই এর সঙ্গে ছিলাম। এখন প্রকল্পটি নিয়ে যা হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট নই; বিরক্ত।’
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে…….
৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। এই গবেষণার সহতত্ত্বাবধায়ক অভিযোগ করেছেন, একাধিকবার অনুরোধ করলেও লুৎফুল কবীর তাঁকে থিসিসের কোনো কপি দেননি।
আবুল কালাম লুৎফুল কবীর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে আছেন।
২০১৪ সালের দিকে ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তাঁর এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজ শুরু করার এক থেকে দেড় বছরের মাথায় ২০১৫ সালে অভিসন্দর্ভের কাজ শেষ করে ফেলেন লুৎফুল কবীর। একটি পিএইচডি অভিসন্দর্ভের কাজ শেষ করার জন্য সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর লাগে। কিন্তু দ্রুত কাজ শেষ করে প্রথমে সহতত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর ছাড়াই ডিগ্রির জন্য অভিসন্দর্ভটি জমা দেন লুৎফুল কবীর। সহতত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন থেকে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে লুৎফুল কবীর গবেষণার সহতত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ফারুককে ‘অনেক অনুনয়-বিনয়’ করে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে এলে ২০১৫ সালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে তা অনুমোদিত হয়।
গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকলের বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে একজন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভে নিজের একটি গবেষণা থেকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে একটি চিঠি দিয়েছেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাস নিলসন।
এই দুটি চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত করে উপাচার্য কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফার্মেসি অনুষদের ডিনকে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। অনুষদটির ডিন এস এম আবদুর রহমান জানান, যাচাইয়ের পর তিনি অভিযোগটির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর তা জোগাড় করে যাচাই করেছে একটি গণমাধ্যম। গবেষণার চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সফটওয়্যার টার্নইটইনের মাধ্যমে অভিসন্দর্ভটি যাচাই করে দেখা গেছে, ২০১২ সালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর সঙ্গে লুৎফুল কবীরের নিবন্ধের ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল রয়েছে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশিত হয়েছে। টার্নইটইন সফটওয়্যার থেকে পাওয়া গবেষণার অরিজিনালিটি রিপোর্টসহ এ–সংক্রান্ত সব তথ্য ও নথিপত্র গণমাধ্যমটির কাছে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার গবেষণাটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের নামকরা একটি জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছিল। এত বছর পরে কেন এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে, জানি না। এখানে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও যাঁরা গবেষণার তত্ত্ববধায়কের দায়িত্বে ছিলেন, অপরাধটা তাঁদের। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
অনুসন্ধান শুরু করার পর লুৎফুল কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত নিজের অভিসন্দর্ভের কপিটি ‘অবৈধ’ প্রক্রিয়ায় নিয়ে ঘষামাজা করেছেন। এর প্রমাণ মিলেছে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দীন মুন্সীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে কিছু ঘষামাজা আমাদের নজরে এসেছে। চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠায় কেউ অবৈধ প্রক্রিয়ায় এই কাজটি করেছেন। ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’
গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের একাধিক চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল করা হলে তিনি তা ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখতে চাওয়ায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ব্যাচটির একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গবেষণার সহতত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ব্যস্ততা সত্ত্বেও গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক রউফের অনুরোধে তিনি সহতত্ত্বাবধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু লুৎফুল কবীর কাজের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি, নিবন্ধের কোনো কপি তাঁকে না দেখিয়ে, তাঁর স্বাক্ষরও না নিয়ে ‘নজিরবিহীন স্বল্প সময়ে’ অভিসন্দর্ভ জমা দিয়ে দেন।
এই শিক্ষকের ভাষ্য, ‘কাজ শুরুর পর থেকে লুৎফুল কবীর আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। বছরখানেক পরে শুনলাম, তিনি গবেষণা নিবন্ধ জমা দিয়ে দিয়েছেন। পিএইচডি গবেষণা করতে সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর লাগে। তিনি আমাকে কোনো কপিও দেননি, স্বাক্ষরও নেননি। আশ্চর্য হলাম। কিন্তু গবেষণাটি যখন অনুমোদনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠানো হবে কিংবা সেখান থেকে ফেরত এসেছে, তখন স্বাক্ষরের জন্য লুৎফুল কবীর আমার কাছে এসে বেশ অনুনয়-বিনয় করেন। জানতে চাইলাম, এত দ্রুত তিনি কীভাবে গবেষণাটি শেষ করলেন? তিনি বললেন, কঠোর পরিশ্রম করে তিনি দ্রুত কাজ শেষ করেছেন। কনিষ্ঠ সহকর্মী হওয়ায় মানবিক বিবেচনা বা সহানুভূতির জায়গা থেকে আমি তাতে স্বাক্ষর করি। কিন্তু আমি ভাবতেও পারিনি, অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তি করা হয়েছে। তখন কোনো অভিযোগও ওঠেনি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার সফটওয়্যারও তখন ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। চৌর্যবৃত্তি করা হয়েছে জানলে আমি কখনোই স্বাক্ষর করতাম না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদ বলেন, ‘পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগটি সত্য হয়ে থাকলে বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক।’ এত বছর পরে কেন অভিযোগ তোলা হচ্ছে—লুৎফুল কবীরের এমন প্রশ্নের বিষয়ে এই জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের মন্তব্য, ‘অভিযোগ যেকোনো সময় উঠতে পারে। চৌর্যবৃত্তির দায় প্রথমত যিনি গবেষণা করছেন তাঁরই।
................................................................................
নথিপত্র ফাঁস ঃ রেলের দুর্নীতির এ সিরিজ প্যাকেজের মোটমূল্য ৭০০ কোটি টাকা ............................................................................
পশ্চিমাঞ্চল রেলে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্টেশন পরিষ্কার করতেই ৯৫ লাখ টাকার ভিম পাউডার লেগেছে। এছাড়া ছোট্ট একটি টয়লেট মেরামতে খরচ হয়েছে ২৮ লাখ টাকা। আরেকটি টয়লেট সংস্কারসহ বারান্দার টিন বদলে খরচ হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা।
রেলের এমন শত শত কাজ টেন্ডার ছাড়াই ক্ষমতাসীন দলের তৃতীয় শ্রেণির ঠিকাদারদের দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মই মানা হয়নি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এসব দুর্নীতির নথিপত্র ফাঁস হওয়ায় পশ্চিম রেলের বর্তমান কর্মকর্তাদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতির এ সিরিজ প্যাকেজের মোটমূল্য ৭০০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
পশ্চিম রেলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুর্নীতির এ মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে একটা ছোট অফিসের কয়েকটা টয়লেট মেরামতে একজন ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা। বারান্দার টিন বদল আর অফিসের টয়লেট মেরামতে আরেকজন ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে ৭৩ লাখ টাকার বিল।
নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পশ্চিম রেলের এমন দুই থেকে আড়াই শতাধিক গায়েবি খাতে ৭০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।
বিভিন্ন স্টেশন রং করা, লাইন সংস্কার, রেলসেতু রং করা, টয়লেট মেরামত, ছাউনি-প্ল্যাটফর্মের টিন বদল, স্টেশন প্রাঙ্গণ সংস্কার, ওভারব্রিজ সংস্কার, মাটি ভরাট, জেটি সংস্কার, হাঁটাপথ সংস্কার, দরজা মেরামত, শীত আর গরমের পোশাক কেনা, স্যানিটারি উপকরণ ও ভিম পাউডার কেনা, বন্যার সময় ইট-খোলা কেনা, সেতু মেরামত, বাউন্ডারি ওয়াল মেরামতের মতো ছোট ছোট কাজগুলোতে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেল ভবনে এসএসএই দফতরের বারান্দার টিন পরিবর্তন ও একটি টয়লেট সংস্কারে ৭২ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, রাজশাহীতে রেলের এ দফতরটি একটি ছোট্ট টিনশেড অফিস।
২০১৭ সালের ৭ জুলাই এ কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হয় মোমিন ট্রেডার্স নামের একটি তৃতীয় শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। বিধিবদ্ধ দরপত্র আহ্বান ছাড়াই লোকাল টেন্ডার মেথড (এলটিএম) বা স্থানীয় টেন্ডার পদ্ধতিতে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই মোমিন ট্রেডার্স কাজটি পায়। কাজ সম্পাদন দেখিয়ে ওই বছরের ১ অক্টোবর ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করা হয়।
নথিপত্র বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, পশ্চিম রেলের প্রধান টেলিযোগাযোগ ও সংকেত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দফতরের টয়লেট মেরামতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৮ লাখ টাকা। এ কাজটি করেছে তৃতীয় শ্রেণির ঠিকাদার তোফা কন্সট্রাকশন।
রাজশাহীতে রেল অফিসার্স মেসের একটি কক্ষের (ইসি-৪) মেরামত ও মেসের ভেতরের হাঁটাপথ সংস্কারে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৮৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮০ টাকা। সরকার অ্যান্ড ব্রাদার্স কাজটি করে।
রাজশাহীতে ভদ্রা ব্যারাকের পুকুরপাড় উন্নয়ন ও ওয়াশপিট (ট্রেন ধোয়া-মোছার শেড) সম্প্রসারণে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ৯ হাজার টাকা। আশরাফুল কবির নামের একজন ঠিকাদার কাজ করেছেন বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে। তবে সরেজমিনে পুকুরপাড় উন্নয়নের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে উল্লাপাড়া স্টেশনের ইয়ার্ডে বালু ভরাট দেখিয়ে মোল্লাহ কন্সট্রাকশনকে ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৯ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। রাজশাহী রেল স্টেশনটি কয়েক বছর আগে রি-মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে নির্মাণ করা হলেও জরুরি কাজ উল্লেখ করে এই স্টেশনের বুকিং কাউন্টার, প্রতীক্ষালয় ও কার পার্কিং এরিয়া মেরামত দেখিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বাবু নামের একজন ঠিকাদারকে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৪ টাকা বিল দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের রায়পুর নামক স্টেশনে মালামাল ওঠা-নামার সুবিধা সম্প্রসারণের নামে ঠিকাদার আরটিসিকে ৯৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তবে নথিপত্রে ওই কাজের ধরন উল্লেখ নেই।
রেলের সাবেক ডিজি আমজাদ হোসেনের শ্যালক পরিচয়দানকারী বদরুল আলমকে নাটোর, মাধনগর, আত্রাই ও সান্তাহার স্টেশনে রেললাইনের প্লাস্টিকের ওয়াসার সরবরাহে মোট ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার টাকার ৫টি প্যাকেজের কাজ একসঙ্গে দেয়া হয় কোনো টেন্ডার ছাড়াই।
বদরুল গত আড়াই বছরে এভাবে বিনা টেন্ডারে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাজ করেছেন বলে রেল সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে বদরুল আত্মগোপনে রয়েছেন।
কাজগুলো শুরুর আগেই বদরুলকে সমস্ত বিল পরিশোধ করা হয় নিয়ম ভেঙে। যদিও রেলের সাবেক ডিজি আমজাদ হোসেন বলেছেন, বদরুল তার শ্যালক নয়; এলাকায় বাড়ি। তার প্রভাব খাটিয়ে কাজ নেয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।
একই সময়ে কোনো টেন্ডার ছাড়াই ঢাকার আরটিসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন রেললাইন সংস্কারের নামে মোট ১৯টি কাজ দেয়া হয়। এসব কাজের জন্য তাকে প্রায় ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কোথায় কীভাবে কাজগুলো হয়েছে, বিল-ভাউচারে তার কোনো বিবরণ নেই।
২০১৮ সালের ১৮ মার্চ ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মের ২০০ ফিট সিআই সিট পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়। ফরমাল টেন্ডার ছাড়াই উল্লাপাড়া স্টেশনের ৩০০ ফিট সিআই সিট পরিবর্তনের জন্য ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
সূত্র- যুগান্তর, প্রথম আলো, পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন