ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটের দিন পেছানোর দাবিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোয় এক ব্যক্তি গণ পিটুনির শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ চলাকালীন সময় বারডেম হাসপাতালের সামনে দিয়ে এক ব্যক্তি গাড়ি চাইলে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়েন। কথা কাটাকাটির মধ্যে এক পর্যাযয়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন। এসময় ছাত্ররা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তির অস্ত্র কেড়ে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম আলিফ রুশদি। বাড়ি পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে, বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। তিনি দুবাইতে ট্রাভেল এজেন্সীর ব্যবসা করেন। তার সঙ্গে থাকা পিস্তলটি লাইসেন্স করা, এবং অনুমোদিত আরেকটি শটগানও তার সঙ্গে পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভস্থলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাঞ্জিলাল রায় বলেন, লোকটি গাড়ি নিয়ে অবরোধ ভেঙে গাড়ি নিয়ে আগায়। শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে সে পিস্তল বের করে একজন শিক্ষার্থীর বুকে তাক করে। শিক্ষার্থীরা তখন ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর শুরু করে।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, আলিফ রুশদীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তে বিশেষ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন