আসন্ন ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী বাজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেখানে দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে দুই সিটিতে ১০ কোটি করে ২০ কোটি ও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা থেকে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতি সিটিতে ১০ কোটি টাকা করে দুই সিটিতে ২০ কোটি টাকা ও নির্বাচনে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা খাতের ব্যয়ের মধ্যে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ১১ কোটি ১০ লাখ, ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মনিহারি দ্রব্য জন্য ১ কোটি, ফুয়েলসহ পরিবহনের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি কোন বাহিনীর খাতে কত টাকা বরাদ্দ হবে। কোন কেন্দ্রে কত জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন, মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স কতজন থাকবেন, এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয় নির্ধারণ হবে। তবে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাহিদা দেননি। আগামী ২২ জানুয়ারি, ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে তারা চাহিদা উপস্থাপন করবেন। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই বিষয়ে বাজেট শাখার উপসচিব এনামুল হক ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘দুই সিটি নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে। বাজেটে নির্বাচন পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাহিদা উপস্থাপন করেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি সভায়, তারা চাহিদা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোন বাহিনী কত বরাদ্দ পাবে তখন সেটা জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম মেশিনের জন্য কোনও টাকা আমাদের দিতে হচ্ছে না। সেটি ইভিএম প্রকল্প থেকেই মেনটেনেন্স করা হবে। তবে যারা কেন্দ্রে ইভিএমের টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত থাকবেন, তাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা খাত থেকে বরাদ্দ থাকবে।’
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন