একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানদারদের পথঘাট চেনাতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছে সেইসব রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। প্রথম ধাপে এমন ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২৬ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৪৮ বছর পর প্রথমবার রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয় সংলগ্ন সরকারি পরিবহন পুল ভবনের ষষ্ঠ তলায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, একাত্তরের রণাঙ্গনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।
প্রকাশিত রাজাকারদের এই তালিকায় বিশেষ করে নাম ও ঠিকানা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংগ্রহ করে একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সামনে একাত্তরের রাজাকারদের নাম-পরিচয় তুলে ধরতেই এ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।’
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে পাক সেনাদের সহযোগী হিসেবে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এর পাঁচ মাস পর সেপ্টেম্বরে রাজাকার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।
ওই সময় সারা দেশে গ্রামেগঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বাররা রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সেই মেম্বারদের সঙ্গে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয় পাকিস্তানপন্থি জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা ও কনভেনশন মুসলিম লীগের মতো দলগুলো। এই দলগুলোর নেতারাই রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। যদিও একাত্তরে এই বাহিনী গড়ে উঠেছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী ও তাদের জেনারেলদের স্বার্থে এবং হস্তক্ষেপে।
বেতনভুক্ত ওইসব রাজাকার ও স্বাধীনতা-পরবর্তী যাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল তাদের নিয়েই রাজাকারদের এই তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার।
তালিকা click here
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
৬৮হাজার গ্রামে ১০,৭৮৯জন, প্রতি ৬/৭গ্রামে ১জন! অথচ চেতনাব্যবসায়ীদের আচরণে মনে হয় দেশের অধিকাংশ মানুষই রাজাকার ছিল!
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন