ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ মুহূর্তে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ১৮ জন। তাদের অনেকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে ঢামেকে৮ জন ও শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রেকিংনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা সাত্তার।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহতদের মধ্যে ৭ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ইমরান, বাবলু, রায়হান, খালেক, সালাউদ্দিন, ফয়সাল ও জাহাঙ্গীর। এর আগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩১ জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
উল্লেখ্য, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় প্রাইম প্যাক প্লাস্টিক নামে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দগ্ধ অবস্থায় ৩১ জনকে উদ্ধার করে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার সন্ধ্যার পর ঢামেকে রোগীদের দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, কারখানাটির কোনও অনুমোদন ছিল না। ঢামেকে রোগী দেখতে আসার আগে তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন