নড়াইলের কালিয়ায় তামান্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পারবিষ্ণুপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত তামান্না পারবিষ্ণুপুর গ্রামের শিপন শেখের স্ত্রী এবং উপজেলার পেড়োলী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামের আকতার মোল্যার মেয়ে।
আকতার মোল্যা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তামান্না ফোন করে বলেছিল- ‘তোমাদের জামাই, বেয়াই, বেয়াইন টাকার জন্য আমাকে অনেক মেরেছে। তোমরা আমাকে নিয়ে যাও আমি বাঁচবোনানে।’
তিনি জানান, তিন বছর আগে মেয়েকে কালিয়ার পারবিষ্ণুপুর গ্রামের রব্বেল শেখের ছেলে শিপন শেখের সঙ্গে বিয়ে দেই। বিয়ে সময় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে লক্ষাধিক টাকার সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে দেই। কিছুদিন ভালোভাবেই তাদের সংসার চলছিল। তাদের একটা মেয়েও হয়েছে ।
আকতার মোল্যা বলেন, কিছুদিন পর বিদেশ যাবে বলে আরও টাকা চেয়ে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে জামাই। আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারিনি বলেই তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তামান্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন