রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় অলিউল্লাহ (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তাকে রাজশাহী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অলিউল্লাহ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার লালবাগ কোকড়াপাড়া গ্রামের মফিজুলের ছেলে।
এদিকে প্রথম স্ত্রী সানজিদা রহমান বিথি স্বামী অলিউল্লাহ তার মা চেনুয়ারা বেগম, ভাই কারিমুদ্দিন মাঝি, ভাতিজা ওয়াজিব ও শরবরি বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন সানজিদা ও অলিউল্লাহ। বিয়ের পর থেকে স্বামী অলিউল্লাহসহ তার পরিবারের লোকজন স্ত্রী সানজিদার কাছে যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল ও টাকা দাবি করে আসছিলো। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে অলিউল্লাহ লোহার রড দিয়ে সানজিদাকে মারপিট করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সানজিদা রহমান বিথি বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর তার স্বামী অলিউল্লাহ আমার অনুমতি ছাড়া ফরিদা পারভিন নামে এক নারীকে বিয়ে করে। আমি এসব কৈফিয়ত জানাতে চাইলে আবারও আমাকে মারপিট করে। পরে বাধ্য হয়ে আমি গত ৪ ডিসেম্বর গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের করি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নৃত্যপদ দাস বলেন, থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরই এক নম্বর আসামি অলিউল্লাহকে আটক করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন