বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হওয়ায় কৃষকরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা পেঁয়াজ রক্ষায় রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।
বিশেষ করে চরাঞ্চলের জমির পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে থাকছেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে বারী ১-৫, লালতীর, তাহেরপুরী, ফরিদপুরীসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ শুরু হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এখন পর্যন্ত ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বাজারে স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ উঠেছে।
সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর রাতে সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দীঘরকান্দি গ্রামের কৃষক ইয়াসিন আলীর দুই শতক জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়। এছাড়া ৪ ডিসেম্বর রাতে খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া ও আউচারপাড়া চরের ৬ জন কৃষকের জমি থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটে।
তাই বাধ্য হয়ে সরলিয়া, খাবুলিয়া, মহব্বতেরপাড়া, আউচারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, খাটিয়ামারী, শিমুলতাইড়, দীঘলকান্দি, নওদাবগা, কর্পূর, মূলবাড়ি, ফাজিলপুর, মহিচরণ, বালুয়াহাট, মধুপুর, হরিখালী, পাকুল্লা, চারালকান্দি এলাকার কৃষক চুরি রোধে জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন। বর্তমানে সোনাতলার হাট-বাজারে পুরাতন পেঁয়াজ ২৫০ টাকা ও নতুন ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নওদাবগা গ্রামের কৃষক সোনাউল্লাহ জানান, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চুরির ঘটনায় তিনি চিন্তিত। চুরি থেকে বাঁচতে জমি পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।
খাবুলিয়া গ্রামের শামসুল হক জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। প্রতি রাতেই জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হচ্ছে। তাই অন্যদের মত তিনিও জমিতে পাহারা বসিয়েছেন।
সোনাতলা থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাছুউদ চৌধুরী জানান, পেঁয়াজ চুরির কথা শুনলেও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কোনো কৃষক অভিযোগ দেননি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন