ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের আলোচিত কোটিপতি পিয়ন ইয়াছিন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে জেলা সদর থেকে তাকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামান্য পিয়ন পদে চাকরি করে ইয়াছিন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জেলা শহরে রয়েছে তার তিনটি বাড়ি, সঙ্গে তিন স্ত্রীও। বিষয়টি নিয়ে যুগান্তরসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করলে লাপাত্তা হয়ে যান ইয়াছিন। তার উধাও হওয়ার ঘটনাটি ছিল জেলাজুড়ে টক অব দ্য টাউন। আজ সে ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
জানা গেছে, ২৩ বছর আগে ইয়াছিন সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পিয়ন পদে চাকরি পান। তার মধ্যে ১০ বছর ছিলেন অস্থায়ী হিসাবে। ২০০৬ সালে তার চাকরি স্থায়ী হয়। এরপর নানা সময়ে তাকে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলায় বদলি করা হলেও ঘুরে ফিরে তিনি সদরেচাকরি করেন। প্রায় সময়ই অফিসের নকল, তল্লাশি ও রেজিস্ট্রেশন ফিসহ চালানের টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে পাঠানো হত তাকে।
কিছুদিন আগে অফিসিয়াল অডিটে তার বিরুদ্ধে ‘কোটি টাকার ঘাপলা’ প্রকাশ পায়। ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে গা ঢাকা দেন ইয়াছিন। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের ভুয়া চালান তৈরি করে তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এদিকে পিয়ন ইয়াছিন ‘নিখোঁজ’ এই অভিযোগে ২৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন