চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়ায় আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ ফজর কাকরাইলের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল বারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দাওয়াতে তাবলীগের তিনব্যাপী জোড়।
দাওয়াতে তাবলীগের এই জোড়ে চট্টগ্রাম, রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, চাদপুর, বিবাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার সহ মোট ১৬ জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।
জানা যায়, বাদ জুমা বয়ান করবেন হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস, দাওয়াতে তাবলীগের চট্টগ্রামের শীর্ষ মুরব্বী মুফতি জসিম উদ্দীন এবং বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মুরব্বী মাওলানা ইক্ববাল।বয়ানের অনুবাদক হিসেবে থাকবেন, কাকরাইলের মুরব্বী মাওলানা ওমর ফারুক ।
মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়দানে বিশাল প্যান্ডেল, নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য প্রায় দেড় হাজার ল্যাট্রিন, বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ, মাঠের মধ্যে ৭ টির মত পুকুর, পানির হাউজ, নিরাপদ পানির জন্য অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ ছোট বড় পানির ট্যাংক, অযু গোসলের জন্য বিশেষ সুবিধায় হালদা প্যারালাল খালের পাড়ে লম্বা ১৫শত ফুটের একটি ঘাট ও অস্থায়ী বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দাওয়াতে তাবলীগের মেহমানরা এই জোড়ে অংশ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা প্যান্ডেল, ল্যাট্রিনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
৩ দিন জোড়ের ময়দানে অবস্থানশেষে হাজার হাজার মুসল্লি আল্লাহর বান্দাকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ইসলামের দাওয়াতের বার্তা নিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বেন। আগামী ৮ ডিসেম্বর আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে এ জোড় সমাপ্ত হবে।
জোড় উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোশাকধারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাবসহ কয়েক স্তরে আইন–শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে। পুরো ইজতেমা ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায় আছে।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালনায় অস্থায়ী মেডিকেল টিম এবং হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস টিম সার্বক্ষণিকভাবে সেখানে দায়িত্ব পালন করবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন